নাঃগঞ্জ সদর উপজেলায় হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলা ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারার দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রঙ্গলে প্রতিদিন সিডিউল ক্রয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত রবিবার ও গতকাল সোমবারও সিডিউল ক্রয় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। গত বছরের মত এই বছরও সিডিউল নিয়ে বিশৃঙ্খলার জন্য সদর উপজেলার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন সম্ভাব্য ইজারাদাররা।

সূত্র বলছে, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক যোগদানের পরই গত বছর ও এবছর সিডিউল ক্রয় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ এর আগে প্রতি বছর সিডিউল বিক্রির সময় উপজেলা কোন পুলিশ সদস্যও উপস্থিত থাকতেন না। শুধুমাত্র দরপত্র দাখিলের দিন পুলিশের উপস্থিতি দেখা যেত। কিন্তু গত বছর ও এবছর হাটের সিডিউল নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। জানাগেছে, সদর উপজেলার ১১টি হাট নিয়ন্ত্রন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী মহল। তাই প্রভাব খাঁটিয়ে হান নিয়ন্ত্রনে তৎপর হয়ে উঠেছেন তারা।

কেননা সদর উপজেলার ১১টি হাটের মধ্যে ১০টিও নাম মাত্র অর্থে ইজারা দেয়া হয়। হাট ইজারা নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় হলেও ইজারা দেয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। এতে ইজারাদার ও উপজেলা কর্তৃপক্ষ ভালবান হলেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অভিযোগে রয়েছে, ইজারাদারদের সাথে সদর উপজেলার কর্তৃপক্ষে গোপ আতাঁতের মাধ্যমে নাম মাত্র মূল্যে ইজারা দেয়া হচ্ছে। অথচ সকলে সিডিউল ক্রয় করে দরপত্র দাখিল করার সুযোগ থাকলে প্রতিটি হাট কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় ইজারা হত। এদিকে, নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও মূলত সদর উপজেলার ১১টি হাটই ক্ষমতাসীনদের দখলে থাকবে।

গতবার অনেকেই সিডিউল ক্রয় করতে গেলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয় অথবা ক্রয় করতে দেয়া হয় না। এমনকি উপজেলা থেকে বলা হচ্ছে উপরের নির্দেশ। যাকে তাকে সিডিউল দেয়া হবে না। এখনো হাটের ইজারা না হলেও ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত স্থানগুলোতে ক্ষমতাসীনরা হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মূলত ক্ষমাসীন দলের নেতারা সিন্ডিকেট করে হাটগুলো নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন।

যার ফলে সরকার বিপুল অংকের টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি হাট ইজারা দেয়ার পর অধিকাংশ হাটেই প্রভাবশালীরা অনেকটা জোর করে ট্রলার বা ট্রাক থেকে গুরু নামিয়ে নিজেদের হাটে তুলেন। তবে এবার তেমন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। এাড়াও হাট ইজারা নিয়ে বিশৃঙ্খলার কারণে উপজেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

গত সোমবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের কঠোরতায় তা নিয়ন্ত্রনে চলে আসলেও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করছেন সিডিউল নিতে আসা অনেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here