বন্দর কলাগাছিয়ার চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের অনুসারী জামায়াত নেতা ইউনূছ সমাচার

0
বন্দর কলাগাছিয়ার চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের অনুসারী জামায়াত নেতা ইউনূছ সমাচার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা:বন্দরের কলাগাছিয়ায় র‌্যাবের হাতে ধৃত জামায়াত নেতা ইউনূছ মিয়ার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুর করছে। গত ৩মে ইউনূছ গ্রেফতার হওয়ার পর হতেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করছে। ইউনূছ আগা-গোড়ায় একজন দুর্ধর্ষ প্রতারক। ২০০৫ সালে সে তার নিজ এলাকায় আইসিএল মাল্টিপারপাস নামে একটি হায় হায় কোম্পানী গড়ে তোলেন।

যার চেয়ারম্যান ইউনূছ নিজে থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান। এক কথায় ইউনূছ দেলোয়ার প্রধানের খাস অনুসারী। মূলতঃ দেলোয়ার প্রধানের ছত্র-ছায়াতে থেকেই ইউনূছ এ সকল আকাম-কুকাম করে বেড়াতেন। অন্যদিকে ইউনূছের অভিভাবক হিসেবে নেপথ্যে শেল্টার দিতেন তারই রাজনৈতিক গুরু জামায়াতে ইসলামীর অর্থের যোগানদাতা ইব্রাহিম খলিল।

২০০৫ সালে ইউনূছ মাল্টি পারপাসের নাম করে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে ইব্রাহিম খলিলের আশ্রয়ে সে দেশে-বিদেশে আত্নগোপনে থাকে। বহুদিন আত্নগোপনে থাকার পর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের আশ্বাসে ফের ছুটে আসেন এলাকায়। পাওনাদাররা টাকার জন্য তার কাছে গেলে দেলোয়ার প্রধানের লোকজনদেরকে দিয়ে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এইভাবে বছরের পর বছরে দেলোয়ার প্রধানের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে ইউনূছ হয়ে ওঠেন ভয়ংকর থেকে আরো ভয়ংকর।

চেয়ারম্যানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ইউনূছ সে সময় থেকেই ইউনিয়নের হাজরাদী চানপুরের মজিদ ভূইয়ার ছেলে পিয়ার জাহান ভূইয়া,মৃত নূরুল ইসলাম ভূইয়ার ছেলে এমদাদ ভূইয়া,কাজী বাড়ীর স্বপন কাজী,নরপদী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন নুহু মিয়ার ৩০ শতাংশ জায়গা একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খানের ছেলে শাহজাহান খান,মৃত সিদ্দিক বেপারীর ছেলে আক্তার হোসেনের সম্পত্তি,মৃত আজিজ খাঁ’র ছেলে আসাবুদ্দিনের সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। কুঁড়িয়াভিটার আনোয়ার হোসেনের সম্পত্তি আত্নসাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করে।

এছাড়াও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নিরীহ লোকজনের সম্পত্তি গ্রাস করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্পত্তি ও অর্থ আত্নসাৎ করেই ইউনূছ সহযোগী সন্ত্রাসীদের দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকেন। এ ব্যাপারে এলাকার জনৈক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ করার শর্তে জানান,ইউনূছ পেশাগতভাবেই একজন প্রতারক। মানুষকে সর্বশান্ত করে তারা নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন।

এলাকায় গুঞ্জণ রয়েছে তার সঙ্গে জঙ্গী-জামায়াতের কানেকশান রয়েছে। তাদের জোরেই সে এলাকায় ভূমিদস্যূতা আর অর্থ আত্নসাৎসহ নানা অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক বলে প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের কমকর্তাদের প্রতি জোরদাবি জানিয়েছেন। তবে জামায়াত নেতা ইউনূছকে গ্রেফতার করায় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ান র‌্যাব’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here