প্রেসনিউজ২৪ডটকম: নিজস্ব সংবাদদাতা:বন্দরের কল্যান্দী কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিদর্শক আফরোজা নাহারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম, রুক্ষ আচরণ ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসা সেবার নাম করে দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকার সাধারণ রোগীদের সাথে অসাদাচারণ হয়রানি করে আসছে। তার রুক্ষ আচরণ সেবা বঞ্চিতের কারণে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।
একই সাথে কমিউিনিটি ক্লিনিকে বরাদ্ধকৃত অষুধপত্রাদি আত্নাসাতেরও অভিযোগ তোলেন সেবাপ্রার্থীরা। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ সেবাপ্রার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান,কল্যান্দী কমিউনিটি ক্লিনিকটি সেবা প্রতিষ্ঠান কেবল নামেমাত্র কার্যতঃ এর কোন সুবিধা এলাকাবাসী পান না বললেই চলে। এখানকার তত্ত্বাবধানে যিনি আছেন তিনি অসুস্থ্য হওয়ায় এটির বর্তমান দায়িত্বে যিনি আছেন আফরোজা নাহার তিনি নিয়মিত অফিসতো করেনইনা বরং কোন কোন দিন সকাল ১০টার পরে এলেও আবার চলে যান বেলা ১টার আগেই।
আবার ক্লিনিকে বরাদ্ধকৃত অষুধপত্র সবই নিজের ব্যাগে করে নিয়ে যান। রোগীরা দূর-দূরান্ত হতে এসে বিমুখ হয়ে ফিরে যান। সেবার পরিবর্তে তারা প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অপরাপর সেবাপ্রার্থী একই শর্তে জানান,আগে পার্বতী ম্যাডাম থাকাকালে যতটুকুই অষুধ বা সেবা পাওয়া গেছে আফরোজা ম্যাডামতো একবারেই অষুধ বা সেবাতো দেনই না তার উপরে রোগীদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেন। তার আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তারা আফরোজ নাহারের অপসারণ দাবি করেছে।
এ বিষয়ে আফরোজা নাহারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,আমি এ ক্লিনিকের তত্ত্বাবধায়ক নই। আমি এখানে পরিদর্শনে আসি,এখানে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই আপনারা লিখে কোন ফায়দা হবেনা। এ বন্দর ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জুয়েলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।