বন্দরে মিশুক চালক হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার-৩

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দর উপজেলা নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মিশুক চালক কায়েস হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো- বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে কাউছার, একই এলাকার সেলিমের ছেলে কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল, উপজেলার দক্ষিন কুল চরিত্র এলাকার রটজা গাজীর ছেলে ফাহিম ওরফে জিকো।

রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে ৩ আসামির মধ্যে হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল ও অপর আসামী লিমন ওরফে রিমন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী কাউছারকে ২ দিনের রিমান্ডে এনেজিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রেখেছে পুলিশ।রোববার দুপুরে (২ অক্টোবর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। এর আগে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিশুকটি পদুঘর থেকে ভাড়া করে সাবদী ব্রিজের নিয়ে গিয়ে মদপান করেন। পরে কলাগাছিয়া ইউপি কান্দাপাড়া থেকে নরপদি গ্রামের পাকা রাস্তার পাশে কালবার্ট সংলগ্ন জনৈক নূর মোস্তফার বালু ভরাটকৃত জমির উত্তর কোণে নিয়ে যান। সেখানে তাকে হত্যা করে ঝোপে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়।তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া  সফিক মিয়ার  ছেলে কায়েস (১৫) জীবীকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে মিশুক চালিয়ে আসছে।

গত বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) ভোর ৬টায় প্রতিদিনের ন্যায় কায়েস মিশুক  নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ হয়। অনেক  খোঁজাখুজি করে কায়েস এর কোন সন্ধান না পেয়ে  গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বন্দর থানায় জিডি করেন তার মা। এ দিকে গত বৃহস্পতিবার কায়েসের মিশুক গাড়ীটি তার মালিক সফিক মিয়া মদনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করঅপরদিকে, মিশুর উদ্ধারের একদিন পর গত শনিবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।

এলাকাবাসী মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর জানতে পেরে নিহত কায়েসের মা ও স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ সনাক্ত করে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here