বন্দরে রকি হত্যা মামলার আসামি শফুরউদ্দিন অধরা, গ্রেপ্তারের দাবি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে রকি (২০) হত্যার ১০ দিনেও অধরা রয়েছে এ মামলার আসামি ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য শফুরউদ্দিন (৫৫) ও তার বাহিনীর সদস্যরা। মামলা পর থেকে শফুরউদ্দিন ও তার সন্ত্রাস বাহিনী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকাতেই আত্মগোপনে থেকে নিহত রকির পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে।

শফুরউদ্দিন ও তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিহত রকির পরিবারের সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে রকির পরিবার জানায়। নিহত রকির মা আছমা বেগম জানান, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার ছেলে রকিকে শফুরউদ্দিন ও তার কিলার বাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৩ মার্চ নিহত রকির মা আছমা বেগম বাদি হয়ে শফুরউদ্দিনসহ তার সহযোগী ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে এলাকাবাসী জানান, রকি হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পরই উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনি শফুরউদ্দিনের দুই সহযোগী শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল (১৭) নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বন্দরের রকির মা আছমা বেগম জানান, আমার ছেলে রকিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে শফুরউদ্দিনের নির্দেশে শহিদুল, সাইফুল, লাদেন, জিয়া ও নয়ন হত্যা করে।

মামলা দেয়ার পর ভূমিদস্যু শফুরউদ্দিন ও তার সন্ত্রাস বাহিনী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকাতেই আত্মগোপনে থেকে আমার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। শফুরউদ্দিন পেশায় একজন জেলে। অস্ত্রের মুখে স্থানীয় গরীব অসহায় মানুষের জমি দখল করে রাতারাতি টাকার কুমির বনে যায়। টাকার গরমে অত্যাচার ও জুলুমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলতে ভয় পায়।

তিনি আরো জানান, শফুরউদ্দিন সহ অন্যান্য আসামীরা সঙ্গবদ্ধ চক্র। একাধিক মামলা থাকলে ও পুলিশ তাকে না ধরায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র‌্যাব, পুলিশের আইজি মহোদয়ের কাছে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেন। এ বিষয়ে ধামগড় ইউপি সদস্য শফুরউদ্দিন বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে, মাছ ধরে ও মাটি কেটে বড় হয়েছি। বর্তমানে আমি জমি কেনাবেচা ও দেখভাল করি। আমি এসবের কোনটার সাথেই জড়িত না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here