প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দরের নরপদি এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের স্ত্রীর বড় ভাই ও তার ছেলে কতৃক প্রকাশ্যে দিন মজুর আবুল হোসেন হত্যাকান্ডের ১৩ দিন অতিবাহিত হতে চললেও ঘাতক মোস্তফা ও তার ছেলে বাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি বন্দর থানা পুলিশ। এদিকে মামলা তুলে নিতে নিহত আবুল হোসেনের ছেলে ও হত্যা মামলার বাদী কাজলকে অব্যাহতভাবে প্রান নাশের হুমকী দেয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন।
বিগত ১১ মে সকালে নরপদি বাগপাড়া এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তী নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবুল হোসেন (৫০) কে রড,ছেনী,চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই সময় হামলাকারিদের কবল থেকে দিনমজুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫) মেয়ে ডালিয়া (২৫) জামাতা রুবেল (৩০) ও নাতনি হাফছা (৪) আহত হয়। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ১টি দা ও ২টি লাঠী উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মোঃ কাজল মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে বন্দর থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহতের স্ত্রী তাসিলিমা বেগম জানান, আমার পিতা মরহুম পীর মোহাম্মদ মিয়ার সম্পত্তী নিয়ে আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়া ও তার মোজাম্মেল ওরফে বাবুসহ তার পরিবারের সাথে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। হত্যাকান্ডের আগের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মোস্তফা সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সকাল ৯টায় পাষান্ড বড় ভাই মোস্তফা ও তার স্ত্রী মহাসেনা বেগম, সন্ত্রাসী ছেলে মোজাম্মেল হোসেন বাবু এবং মেয়ে সোহাগী আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠী সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি মোজাম্মেল হোসেন বাবু ধারালো দা দিয়ে আমার স্বামীকে বেদম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আমি ও আমার মেয়ে ডালিয়া ও জামাতা রুবেল বাধা দিলে উল্লেখিতরা আমাদেরকে ও আমার অবুঝ নাতনি হাফসাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
আমাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেণ সেখানে আমার স্বামী মারা যায়। তিনি আরও বলেন,মামলা তুলে নিতে তার পরিবারের লোকজনকে অব্যাহতভাবে হুমকী দিচ্ছে আসামী পক্ষের লোকজন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি আমরা। এই হত্যা মামলার তদন্তকারী বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকারিদের গ্রেপ্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে। আশা করি অল্প সময়ে মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্বভ হবে।