নারায়গঞ্জ শহরের টানবাজারে পাওনা টাকা বিরোধে হোসিয়ারী শ্রমিক খুন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পাওনা টাকা না দেয়ায় নারায়গঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় আরিফ নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তারই সহকর্মীকে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) রাত সোয়া বারোটায় টানবাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ওয়াকওয়েতে এ হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ মিরাজ নামে আরিফের এক সহকর্মী যুবককে আটক করেছে।

নিহত আরিফ শহরের নিতাইগঞ্জ ঋষিপাড়া এলাকায় ভাড়াটে বাসিন্দা মাটি কাটার শ্রমিক আব্দুল মতিনের ছেলে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরিফ চতুর্থজন। সে টানবাজার এলাকায় রিভারভিউ টাওয়ারের নবম তলায় নতুন চালু হওয়া একটি হোসিয়ারির শ্রমিক। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সহকর্মী সোহরাবের কাছ থেকে কিছুদিন আগে মাত্র সাতশত টাকা ধার নিয়েছিল আরিফ। সেই টাকা ফেরত না দেয়ায় আরিফকে খুনের পরিকল্পনা করে সোহরাব। পরিকল্পনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতে হোসিয়ারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আরিফকে ওয়াকওয়েতে ডেকে নিয়ে যায় সোহরাব।

এক পর্যায়ে আরিফের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সোহরাব ও তার সহযোগিরা। এরপর আরিফের বুকেসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। এসময় আরিফের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩’শ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন মিরাজ নামে আরিফের এক সহকর্মী যুবককে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মিরাজকে আটক করে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

থানা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিহত আরিফের মা ও বড় ভাই সহ নিকট স্বজনরা রাত দুইটার দিকে সদর থানায় ছুটে আসেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আরিফের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন সেতু জানায়, আরিফের কাছ থেকে কেউ টাকা পেতো সেটা আমরা কেউ জানতাম না। স্বজনরা এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে।

আটক মিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযুক্ত সোহরাব সহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here