নারায়ণগঞ্জ শহরের অতিথি হোটেলসহ একাধিক আবসিক হোটেলে চলছে পতিতাবৃত্তি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নগরীতে পূণরায় আবাসিক হোটেল গুলোতে অবৈধ কার্যকলাপ চালু হয়েছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে এসব আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রতিনিয়ত চলছে এসব অবৈধ কার্যকলাপ। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে নারায়ণগঞ্জের কলঙ্ক টানবাজার পতিতা পল্লি বন্ধ হলেও ফাটা কেষ্ট খ্যাত এডিসি গাউছুল আজমের নেতৃত্বে নগরীতে বন্ধ হওয়া এসব হোটেল গুলো কে বা কারা অথবা কোন কুচক্রী মহলের নির্দেশে ও ছত্রছায়ায় পূণরায় চালু হয়েছে। এ প্রশ্ন এখন প্রশাসনের কাছে। পবিত্র রমজান মাসকে লক্ষ্য করেই এসব হোটেল গুলো পূণরায় চালু হয়েছে বলে সূত্র জানায়। তবেই রমজানের পূর্ব থেকেই এসব হোটেল গুলোতে এ ধরনের কার্যকলাপ চলমান ছিলো বলে সূত্রে আরো জানা যায়।

নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্ক মুক্ত করতে সাংসদ শামীম ওসমান যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেটা সফল হলেও ফাটা কেষ্ট খ্যাত এডিসি গাউছুল আজমের পদক্ষেপ ভেস্তে গেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিভিন্ন আবাসিক হোটেল তৈরি করে সেখানে সক্রিয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। নগরীর ফলপট্টি এলাকায় এর দৌরাত্ম সবচাইতে বেশী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবাসিক হোটেল অতিথি সহ বেশ কয়েকটি হোটেলে এ অবৈধ কার্যকলাপ চলছে। সন্ধ্যে হলে ফলপট্টি রেললাইন এলাকা দিয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে চলাচল করাটাও কষ্টের। সেখানে বিভিন্ন পতিতারা বোরকা পড়ে খদ্দেরের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। এ অবস্থায় ভালো পরিবারের কোন মেয়ে যদি বোরকা পড়ে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে তাহলে অবস্থাটা অনুমান করাটাই কষ্টকর।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব হোটেলের নামধারী ষ্টাফরা সেই সব পতিতাদের দালালি করে থাকে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পতিতার সাথে খদ্দেরের দর কষাকষির পরেই সেই সব দালালরা খদ্দেরকে হোটেলে নিয়ে যায়। নাম না বলার শর্তে ফলপট্টি এলাকা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী একজন পথিক জানান, আমাকে প্রায় প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় এবং এসব পতিতাদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। এমনও দৃশ্য চোঁখে পড়েছে, একজন ভদ্র পরিবারের মেয়েকে পতিতা মনে করে তার পথ আটকে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেছে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এ ব্যাপারে এখনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা।

এ ব্যাপারে অতি শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, হোটেল গুলো আমরা মনিটরিং করবো। যদি বেআইনি কোন কার্যকলাপ চলে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অনেক সচেতন নাগরিক বলছেন, এসব আবাসিক হোটেল গুলোর ব্যাপারে যদি এখনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here