চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছে হোয়াইট হাউজ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চীনের উহানে অবস্থিত উহান ভাইরোলজি ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ও এ বিষয়ে তাদের ভূমিকার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার কারণে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে তা যাচাই করে দেখছে হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখছেন, করোনা ভাইরাসের উৎস উহান ভাইরোলজি ল্যাব কিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ ওই ল্যাবরেটরির কোনো কর্মী সেখানে দুর্ঘটনাবশত প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন, যাকে বলা হয় প্যাসেন্ট জিরো। কিন্তু এ অভিযোগ চীন প্রত্যাখ্যান করে। দ্রুততার সঙ্গে তারা দাবি করে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে উহানের ‘ওয়েট মার্কেট’ থেকে। সেখানে কোনো বাঁদুর বিক্রি হয় না। ওই মার্কেট নিয়ে চীন সরকার যে দাবি তোলে দৃশ্যত তাতে সমর্থন দেয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

ওদিকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ধামাচাপা না দিয়ে এ বিষয়ে ‘পরিষ্কার কথা বলতে’ চীনের প্রতি সতর্কতা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তারবার্তায় উহান ল্যাবরেটরিতে বাঁদুর নিয়ে গবেষণার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। যদি যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে এটাই হবে এ যাবতকাল কোনো দেশের ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার বিষয় ধামাচাপা দেয়ার ঘটনা। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহানে অবস্থিত ওই ল্যাবরেটরির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। তাদের সন্দেহ ওই ল্যাবরেটরি থেকে নোভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এর ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে করোনা মহামারি। কিন্তু এমন সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষণ খুব তাড়াতাড়ি উপস্থাপন করা হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে।

তারপর তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে বসবেন বুদ্ধি আঁটতে যে, কিভাবে এই মহামারির জন্য চীনকে জবাবদিহিতার অধীনে আনা যায়। ডেইলি মেইল লিখেছে, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো ফক্স নিউজকে বলেছে, করোনা ভাইরাসকে চীনা বিজ্ঞানীরা জীবাণু অস্ত্র হিসেবে তৈরি করেছেন বলে যে তত্ত্ব বা বিতর্ক আছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ওয়াশিংটনের বিশ্লেষণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসটি জিনোম ম্যাপিং করে দেখা গেছে, এতে জিনগত কোনো পরিবর্তন হয় নি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সূত্রগুলো ফক্স নিউজকে বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হচ্ছিল উহানের ওই গবেষণাগারে। সেখান থেকে ‘প্যাসেন্ট জিরো’ প্রথমে এতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরে ওই ব্যক্তি পুরো শহরে এবং পরে সেখান থেকে সারা দুনিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে এই ভাইরাস। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা একমত যে, সার্স-কোভ-২ বা করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের মূল উৎস হলো বাঁদুর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here