প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা ঃ গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্ধা করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর জি,এইচ,জিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান। সে কারনেই ২০২৩ সালের মার্চ মাসে গোপনে আয়া,ল্যাব অপারেটর ও পরিছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি পরে জানাজানি হলে আয়া,ল্যাব অপারেটর ও পরিছন্নতা কর্মী পদে ১৮টি আবেদন পত্র জমা পরে। এর মধ্যে পরিছন্নতা কর্মী পদে গোপালপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন, শাকিল, আকিদুল, পাতিবিলা গ্রামের সালমান,জলিলপুর গ্রামের নাজমুল আবেদন করেন।বিদ্যালয়ের একটি সুত্রে জানাগেছে, পারিছন্নতা কর্মী পদে গোপালপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনকে নিয়োগ পেতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানিয়ে দেন ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে।
পরে আলমগীর হোসেন তার বসত ভিটা বিক্রি করে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ারের হাতে তুলে দেন। কিন্তু পরে অন্যএক প্রার্থী বেশী টাকা দেওয়ায় তাকে নিয়োগের চিন্তা করলে বসত ভিটা বিক্রি করে দেওয়া প্রার্থী আলমগীর হোসেন কিটনাশক পানে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। সে সময় সংসদ সদস্য (বর্তমানে সাবেক) আলহাজ¦ শফিকুল আজম খান চঞ্চল নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে দেন।
সম্প্রতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মার্চ (২০২৪) মাসে আবারও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্ধা করেন গোপনে ৩টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।এরই মধ্যে নিয়ম বহির ভুতভাবে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কয়েকজন আবেদন কারীর নিয়োগের
জন্য আবেদন করা আবেদন পত্র ও পোষ্টাল অর্ডর গোপনে ফেরত দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান।জি,এইচ,জিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না।
তাই তিনি আফেরৎ যোগ্য পোষ্টার অর্ডারসহ আবেদন পত্র ফেরৎ দিয়েছেন। যা কোন নিয়োমের মধ্যেই আসেনা। পরিছন্নতা কর্মী পদে আবেদন কারী গোপালপুর গ্রামের শাকিল ও আকিদুল ইসলাম জানান, নতুন করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবারও গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাই আমাদের আবেদন পত্র ও পোস্টাল অর্ডার ফেরৎ দিয়েছেন।পরিছন্নতা কর্মী পদে আবেদন কারী গোপালপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, আমার আবেদন পত্রটি ফেরৎ দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু পরে আর ফেরৎ দেয়নি।
কারন আমার সাড়ে ৬ রাখ টাকাতো আগেই দেওয়া রয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খাইরুল ইসলাম জানান, নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন কিনা আমার জানানেই। তবে লোক মুখে শুনেছি পুর্বের কয়েকজন আবেদনকারীর আবেদন পত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরত দিযেছে।
জি,এইচ,জিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর নিয়োগের বিষয়ে আমি কোন প্রার্থীর কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহন করিনি। আর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আমি না। তিনি গোপনে দিয়েছেন নাকি সদরে দিয়েছেন সো তার বিষয়। আর আমি কয়েকজনের আবেদন পত্র পোস্টাল অর্ডার ফেরৎ দিয়েছি। নিয়ম- অনিয়ম কোনটাই আমার জানানেই।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আমার কথা তম প্রধান শিক্ষক পত্রিকায় দেয়।
কিভাবে দেয় সেটা তিনিই জানেন। আর পোষ্টল অর্ডার ফেরৎ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানানেই। কবে কখন বা কার কার তা ফেরৎ দিয়েছেন তিনিই জানেন। আমার জানানেই।মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার মালিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। সেটা গোপনে হচ্ছে না প্রকাশ্যে হচ্ছে তা আমার জানানেই।
আবেদনপত্র বা পোস্টাল অর্ডার ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, নিয়োগ বাতিল বা কোন কারণ বসত বন্ধ হলে আবেদন পত্র ইচ্ছা করলে কমিটি ফেরৎ দিতে পারে কিন্তু অফেরৎ যোগ্য পোস্টাল অর্ডার ফেরৎ দিতে পারেন না।