প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই জনপদ লড়াই করার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল, এই জনপদ হার মানেনি। মুঘলদের সাথেও তারা লড়াই করেছে। বারো ভূইয়ার এক ভূইয়া এই সোনারগাঁয়ে ছিলেন।
এই সোনারগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা যেমন জন্মেছে, সোনার মানুষ জন্মেছে। জাতির পিতা এই সোনারগাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেন শিল্পাচার্জ জয়নাল আবেদীদের হাত ধরে এই চারু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই৷ ১৫ আগষ্টের সকল শহীদসহ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ”আমার বন্ধু আব্দুল্লাহ আল কয়সার। আজ থেকে ১৩ বছর আগে যখন তাকে দেখি তখন দেখেছিলাম তার তেজদীপ্ত মুখ। আজ তার মুখ আগের মত না হলেও তার সেই আভিজাত্য রয়েছে। দ্বাদশ সংসদে আমরা তার আসনটি উদ্ধার করতে পারবো বলে আশা করছি।”
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সোনারগাঁয়ে ‘মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, স্বাধীন পাকিস্তানে প্রথম রাজবন্দি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষার জন্য তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। গার্লস স্কুলের বাচ্চারা সারাদিন স্লোগান দিত তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিল নিশ্চই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে। একাত্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই বাংলাদেশ অর্জন করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। সেদিন এই সোনারগাঁয়ের মানুষ নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছিল। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধ জানাই। সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধারা যারা জীবিত আছেন আপনারা কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধে যাননি। আপনাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই লোকশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই আজ সোনারগাঁয়ের জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এই বাংলা আগে বাঙালি শাসন করেনি। পিতা তোমার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ বাঙালিরা শাসন করেছে। এই বাংলা স্বাধীন করতে তিতুমীর রক্ত দিয়েছে, সুভাস চন্দ্র বোস রক্ত দিয়েছে। তারা পারেনি বঙ্গবন্ধু অবশেষে পেরেছে। আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেদিন সাত মার্চ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ দিয়েছিল। তার প্রতিও আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
”বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে এই জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু। তার অতি স্বপ্নের ছিল এই ফাউন্ডেশন। ”এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র মোঃ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ওসমান গনি।