রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও সাংবাদিকের জমি দখলের চেষ্টা

0
রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও সাংবাদিকের জমি দখলের চেষ্টা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শনা অগ্রাহ্য করে দৈনিক মানবকষ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিকের জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে, রুপগঞ্জ ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর গং এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর বাড়িয়ারটেক এলাকায় দৈনিক মানবকন্ঠের সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন ৯ শতাংশ জমি দখলের পাঁয়তারা করছে ইউপি মেম্বার আলমগীর গং।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘তার মালিকানাধীন ৯ শতাংশ জমি জবর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আলমগীর গংয়ের সহযোগী রিয়াদ গং। সূত্রমতে জানা গেছে, এই রিয়াদ মূলত ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়ার অনুসারী। প্রথম দিকে রিয়াদ গং ও তার ৬ সহযোগী মিলে তাকে জমি থেকে বেদখল করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে বিচার শালিসের নামে নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি, কোনো অবস্থাতেই জমি দখল নিতে পারেনি তারা।

এর পরবর্তীতেও তারা থেমে থাকেনি রিয়াদ গং জমি দখল নিতে একের পর এক হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজে বাদী হয়ে রিয়াদ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উক্ত জমির দখল ও শান্তি শৃঙ্খলা বর্জায় রাখার জন্য রুপগঞ্জ থানা পুলিশের কে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

মামলার আসামীরা হলেন, বাড়িয়ারটেক এলাকার কাদির মোল্লার ছেলে রিয়াদ মোল্লা (২৯), ছনি, জালাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে নাদিম (৩০), একই এলাকার দারাজ উদ্দিনের ছেলে মুক্তার (৩৩), আব্দুল বাতেনের ছেলে রুবেল (২৯), হাসিবউদ্দিনের ছেলে টিপু (২৭), ছাত্তার খন্দকারের ছেলে জামাল (৩১), জালাল উদ্দিনের ছেলে কাউসার (৩১)। তিনি আরও জানান, ‘ আদালতের এই নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৮ অক্টোবর সকালে ইউপি সদস্য আলমগীরের নির্দেশে তার সহযোগি রিয়াদ, টিপু, ডালিম, মুন্না, শাওন, ও রুবেল ওই জমিতে একটি অবৈধ দখলের চেষ্টায় সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

সেখানে লেখা আছে, বায়না সূত্রে এই জমির মালিক মো. আলমগীর মিয়া। এরপর থেকে ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে।তথ্য মতে এই জমির প্রকৃত মালিক হচ্ছেন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম গং। সাইনবোর্ড স্থাপনের বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম, আলমগীরকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি রিয়াদের কাছ থেকে জমি বায়না করার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাচ্ছিনা।

এখন আপনি যদি এই জমি বিক্রি করে দেন তাহলে বায়নার টাকা কার কাছ থেকে আদায় করবো? এ সময় তাকে প্রশ্ন করলে,এই জমি নিয়ে এখনো আদালতে মামলা চলছে, নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। জবাবে তিনি জানান এটার আপোষ মিমাংসা হয়ে গেছে। কিন্তু আপোষের বিষয়টি বাদী নিজেই জানেনা বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান,এ ঘটনার ব্যাপারে আমাকে অবগত করা হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটা অবশ্যই আদালত অবমাননা করা হয়েছে। আদালতের নির্দশনা অমান্যকারীদেরকে অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here