প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কভার্ডভ্যান চালকের বিরুদ্ধে কিশোর হেলপার পিটিয়ে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে চালক ওমর ফারুককে শনিবার দুপুরে ফতুল্লার জালকুঁড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরের নাম অন্তর চন্দ্র দাস। সে নরসিংদীর মৃত অনন্ত চন্দ্র দাসের ছেলে।
গত বুধবার সকালে গাড়ি না ধোয়াকে কেন্দ্র করে চালক ওমর ফারুক অন্তরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তিন দিন বাড়িতে অসুস্থ থাকার পর গতকাল শনিবার দুপুরে অবস্থার অবনতি ঘটলে অন্তরকে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মা শেফালি রানী দাসকে সঙ্গে নিয়ে বন্দরের স্কুল ঘাট সংলগ্ন আবদুল মালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
নিহতের মা শেফালী রানী দাস বলেন, তার ছেলে অন্তর চন্দ্র দাস কাভার্ড ভ্যান চালক ওমর ফারুকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। গত বুধবার সকালে গাউছিয়া থেকে গাড়ি ফতুল্লার জালকুঁড়িতে আসার পর গাড়ি না ধোওয়ার কারণে ওমর তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এরপর গত তিনদিন অসুস্থ থাকার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেফালি রানী দাস কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন বাপ নাই, তাই পোলাডারে হেলপারির কামে দিছিলাম। ঘটনার দিন শরীরে জ্বর ছিল, তাই গাড়ি ধুইতে চায় নাই। এই কারণে পোলাডারে পিটাইলো। তিন দিন বিছনায় ছিল। সকাল বেলা বাবার শরীরডা আরো খারাপ করায় হাসপাতালে নিয়া আসি। পরে ডাক্তার কয়, আমার বাবায় আর নাই। আমার বাবারে পিটাইয়া মাইরা ফালাইসে। আমি ট্যাকা পয়সা কিছু চাই না, আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা ইমন বলেন, হাসপাতালে আসার পূর্বেই ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, হেলপারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে ড্রাইভার ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।#