ফতুল্লা বক্তাবলীর শাকিলা স্বামীর ৫০ লাখ নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের ঘরে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নরায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে নিজের প্রবাসী স্বামী এবং সাত বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে রেখে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে শাকিলা আক্তার নামে এক গৃহবধু। শাকিলার স্বামী খলিলুর রহমান ফ্রান্স যাওয়ার পর সে একই গ্রামের রুবেলের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানাজানি হলে এক পর্যায়ে সে পরকিয়া প্রেমিক রুবেলের সাথে পালিয়ে যায়।

পরে প্রবাসী স্বামী খলিল নিজে ও তার পরিবার বুঝিয়ে সুজিয়ে তাকে ফেরৎ আনলেও সে রুবেলের সঙ্গে তার শারীকি সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। তবে খলিল জানায় সে তার সাত বছরের শিশু সন্তানটির দিকে তাকিয়ে নষ্ঠা শাকিলাকে ফেরৎ আনতে চেয়েছিলো। এবং এমন জঘন্য অপরাধ করার পরেও ফেরৎ এনেছিলো। কারন সে চায়নি শিশু সন্তানটি মা হারা হোক। টেলিফোনে খলিল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি নিজে আছি ফ্রান্সে আর আমার শিশু সন্তানের মাও যদি অন্যের হাত ধরে চলে যায় তাহলে আমার ছেলেটিকে দেখবে কে? বাবা মা থাকা সত্বেও সে এতিম হবে এটা আমি মানতে পারিনি।

তাই আমি ভেবেছিলাম আমার নিজের জীবনতো শেষ, তবু আমার সন্তান থাকুক মায়ের আদরে। কিন্তু শাকিলা এতোটাই নষ্ঠ চরিত্রের যে সে তার নিজের পেটের সন্তানকে ফেলে রেখে এই লম্পটের সাথে আবারও পালিয়ে যায়। আমার ছেলেটি এখন মাকে হারিয়ে এতিমের মতো অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই ছেলের কথা চিন্তা করে আমি তাকে ফেরৎ এনেছিলাম। আমি চরীত্রহীনা শাকিলাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে তার শারীরিক সম্পর্কটাকেই বড় করে দেখেছে।

তাই আমি এখন বিচার চাই। আমিতো আমার স্ত্রী সন্তানেকে ফ্রান্সে নিয়ে আসার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু নষ্ঠা চরিত্রহীনা শাকিলা আর তার লম্পট পরকিয়া প্রেমিক আমার ও আমার অসহায় শিশু সন্তানের সুন্দর জীবন দুটি তছনছ করে দিয়েছে। আমি সমাজের কাছে বিচার চাই। বিচার চাই দেশের প্রশাসনের কাছে এবং বিচার বিভাগের কাছে। আমি আমার গ্রামের এবং বক্তাবলী এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সকল মানুষের কাছে আবেদন করছি আপনারা এই নষ্ঠা নারী ও লম্পট রুবেলের বিচার করুন। নইলে এর খারাপ প্রভাব সমাজে পড়তে বাধ্য।

ওরা শুধু আমাদের জীবন নষ্ট করেনি, ওরা গোটা সমাজের ক্ষতি করেছে। গ্রামের বদনাম করেছে এবং অন্য ছেলেমেয়েদেরকে খারাপ হওয়ার পথ দেখিয়েছে। তাই বিবেকবান মানুষদের প্রতি আমাদের আহবান আপনারা আমার শিশু সন্তানটির দিকে তাকিয়ে ন্যায় বিচার করুন। খলিল আরো জানায় দত কয়েক বছরে সে শাকিলার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার উপরে পাঠিয়েছে।

গড়ে দিয়েছে আরো অন্তত দশ লক্ষ টাকার গহনা।  ফ্রান্সের মতো একটি উন্নত দেশে থেকে সে যে বেতন পেয়েছে তার সিংহভাগই সে স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে। সে তার স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই নিরলস পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করছিলো। কিন্তু দুশ্চরিত্রা শাকিলা সেটা বুঝলো না। তাই সে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য তার পাঠানো টাকা ও গহনা ফেরৎ চান।

এদিকে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে শাকিলা ও তার পরকিয়া প্রেমিক খলিলের টাকা ও গয়না ফেরৎ দেয়াতো দূরের কথা বরং উল্টো টাকার জোরে খলিলের পরিবার পরিজনকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ফ্রান্স প্রবাসী খলিল আরো অভিযোগ করে এই টাকা শাকিলা তার পরকিয়া প্রেমিক রুবেলকে দিয়ে দেয়। আর লম্পট রুবেল ও রুবেলের পরিবার এই টাকার লোভেই নষ্ঠ চরিত্রের জেনেও শাকিলাকে বাগিয়ে নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here