নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ডিপিডিসি দপ্তরের ষ্টোরকিপার আলীনূর দুর্নীতির বরপুত্র

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা ডিপিডিসির অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে  নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ডিপিডিসি দপ্তরের কর্মচারী অর্থাৎ ষ্টোর কিপার আলীনূর দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। অথচ একই দপ্তরের লাইনম্যান  (ম্যাট) দেলোয়ার হোসেনের কঠোর দায়িত্বের কারনে কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা  রাজস্ব আদায় করছে বলে জানা গেছে।

ফতুল্লা ডিপিডিসি গ্রাহকদের অভিযোগে জানা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  বেপরোয়া দুর্নীতির কারনে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব  অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবৈধপন্থায় অর্থ আয়ের লক্ষে দালাল নিয়োগ করে  থাকে। ডিপিডিসির ফতুল্লা দপ্তরের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের মধ্যে কুতুবপুর  ইউপির নয়ামাটি এলাকার কালাচান জানান, সে অটোরিক্সা গ্যারেজের মালিক। সে  বিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষে মিটার রিডারকে ৫ হাজার টাকা মাসোয়ারা দিয়ে থাকে। টুন্ডা  জামাল নামে আরেক গ্রাহক জানান, তিনি চানমারী বস্তি এলাকার গ্রাহক। এখানকার  মিটার রিডারকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন।

গাবতলী এলাকার জ নৈক ফ্যাক্টরীর মালিক মোয়াজ্জেম জানান, তিনি কারখানার ওভারলোড বিদ্যুৎ  ব্যবহারের জন্য মিটার রিডারকে ৪ হাজার টাকা মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন। শীতলক্ষ্যা  এলাকার মামা ভাগিনা অটো গ্যারেজের মালিক জাকির ১৪ কিলো নতুন সংযোগের জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছে। এখানকার সিএস নিয়োগ প্রাপ্ত লাইনম্যান রবিন মিটার  ছাড়াই ডাইরেক্ট সংযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে ডিপিডিসির ফতুল্লা সার্কেলের আওতাধীন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  বিরুদ্ধে।  এদিকে ডিপিডিসির শীতলক্ষ্যা এলাকার ষ্টোর কিপার আলীনূর এখানে দুর্নীতির  বরপুত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দালালের মাধ্যমে অ বৈধপন্থায় টাকা আয়ের মিশন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। তার  বেপরোয়া দুর্নীতির কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল হতে হয় বলে  অভিযোগ রয়েছে। এমন কি তার দুর্নীতির প্রতিবাদ ও বন্ধ করার জন্য নির্বাহী  প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ তদন্ত করার ব্যবস্থা নিতে চাওয়ায় ষ্টোর কিপার আলীনূর উল্টো  তাকে নানা হুমকী দিচ্ছে বলে জানা গেছে।  অপরদিকে ডিপিডিসির ফতুল্লা দপ্তরের লাইনম্যান (ম্যাট) দেলোয়ার হোসেন  সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন বলে এখানকার শীর্ষ সকল কর্মকর্তাই  স্বীকার করছেন।

এসব কর্মকর্তারা বলেন, লাইনম্যান (ম্যাট) দেলোয়ার হোসেনের  কারনে সরকার কোটি কোটি টাকা অনাদায়ের রাজস্ব আদায় করতে পারছে। এমনকি  ফতুল্লার সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলি মোঃ কামাল হোসেন জিজ্ঞাসা করলে  তিনি জানান, আমার অধিনে দুটি দপ্তর রয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলি আব্দুল মজিদ ও নির্বাহী প্রকৌশলি মোঃ মাইনদ্দিন ডিপিডিসির উন্নয়নে রাত দিন পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কালাম আজাদ বলেন দেলোয়ারের তথ্যের উপর  ভিত্তি করে সরজমিন তদন্তের মাধ্যমে বেআইনী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতে অনেক টাকার সরকারি রাজস্বও আদায় করা হচ্ছে বলে তারা দেলোয়ারের কর্ম তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here