প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালিতে হিন্দু অধ্যূষিত পঞ্চপল্লীর গ্রামের কালি মন্দিরে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান শ্রমিক হিসেবে কর্মরত দুই কিশোর হাফেজ মুসলিম সহোদর ভাইকে কোন সাক্ষ্য প্রমান ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পিটিয়ে নির্মমভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করে উল্লাস করে উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা এবং অন্তত ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বাদ জুম্মা ভোলা শহরের হাটখোলা জামে মসজিদ চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী ইয়াছিন নবীপুরী, ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীনের সম্পাদক এবং ভোলা দারুল হাদিস কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামি আন্দোলন ভোলা জেলা সভাপতি ও ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও মুখপাত্র মাওলানা মুহাঃ মিজানুর রহমান, ভোলা জেলা ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও খলিফাপট্রি জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মো. মুজির উদ্দিন, ভোলা জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি ও মুসলিম ঐক্য পরিষদের জেলা সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মীর মো. বেলায়েত হোসেন, ভোলা জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সম্পাদক ও মুসলিম ঐক্য পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্বাছ উদ্দিন, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আমিনুল হক নোমানী, ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আবুজাফর আব্দুল্লাহ, ভোলা জেলা কাওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী প্রমূখ।
বক্তাগন বলেন ফরিদপুরের মধুখালিতে সংখ্যালঘুদের হাতে দুই হাফেজ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেনা। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার গত এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সংঘাত-সহিংসতা প্রশমনের বদলে বিক্ষোভ দমনে শক্তি প্রয়োগ কখনোই সুফল বয়ে আনবেনা। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্প্রীতি বিনষ্টের কোন অপচেষ্টায় জড়িত হওয়া উচিত হবেনা। মুসলমানদের সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।
যেকোন মূল্যে দেশের ঐতিহাসিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা করতে হবে। হত্যাকান্ডটি সু-পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা স্পষ্ট। সমাবেশ থেকে বক্তারা দাবি করেন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এবং নিহত ও আহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতি পুরন দিতে হবে। এ ঘটনার বিচারের নিশ্চিয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। প্রচন্ড তাঁপপ্রবাহের মধ্যেও মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে হাজার হাজার তৌহিদিজনতা মিছিল সহকারে অংশগ্রহন করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।