দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত

0
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।গত রবিবার বেলা ১১ ঘটিকায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুর গ্রামে।
আহতরা হলেন উক্ত গ্রামের মৃত ফরিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ কালাম ( ৪৮) ও মোহাম্মদ রশিদুল সরকার ( ৩৫) এবং ফয়জার সরকারের মেয়ে মোসাম্মৎ ফাহমুদা (১৪)।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মৃত ফরিজ উদ্দিন সরকারের বড় ছেলে মোঃ ফাইজার সরকার(৫০) বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মোঃ মশিউর সরকারের ছেলে মোঃ মমিনুল ইসলাম( ৩৬ ),মোঃ মোস্তাকিম (২৬ ),মোসাম্মদ মুনিজা (৩০) ও মোছাম্মৎ নিপা আক্তার (১৯)।মৃত রহমান সরকারের ছেলে মোঃ মশিয়ার সরকার (৬০),মৃত মকছেদ ছেলে মোঃ খাইরুল সরকার (৩৬),মোহাম্মদ সাজু (১৯),মোছাম্মৎ মন্জুয়ারা (৫০), মোছাম্মৎ শিরিনা আক্তার (30), মোসাম্মদ খাইরুন (৬০) ও মোছাম্মৎ রেহানা(৫৫)।

অভিযোগে উল্লেখ করে ফয়জার সরকার বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে নিজ নামিয় ৪৫ শতাংশ জমি যার দাগ নম্বর ৩৬৫ (দাঙ্গা), যা গত ৪৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসতেছি।কিন্তু বর্তমানে বিবাদীরা বিনা কারণে যখন তখন এই জমিকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ করেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ই এপ্রিল (রবিবার) বেলা আনুমানিক ১১.০০ টায় বিবাদীরা আমার জমিতে এসে আমার আমন ধানের খড়ের পালা উল্টে দেয় ও আমার রোপনকৃত হাড়িভাঙ্গা জাতের আমের পাঁচটি গাছ কেটে নষ্ট করে দেয়।

এরপর আমার মিষ্টি কুমড়া ও শাক সবজির জংলি ভেঙ্গে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা ।এ সময় আমি তাদের বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা তাদের ধারালো দেশীয় লোহার বড় ছুরি, টিউবয়েলের হ্যান্ডেল, রড ,শাবল ,দা, বটি ,হাতুর ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে ।আমার ছোট ভাই কালাম আগাইতে আসলে বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের ঘাড়ে আঘাত করে। পরে আমার অপর ভাই রশিদুল সরকার আগাইতে আসিলে বিবাদীরা তাকেও এলো পাতারি মারতে থাকে।

এ সময় আমাদের বাঁচাতে আমার মাতা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও ভাতিজা ঘটনাস্থলে আগাইতে আসলে বিবাদীরা তাদেরকেও আঘাত করে ও মারধর করে। এ সময় আমার ছোট মেয়ে ফাহমুদার মাথায় রড দিয়ে সজরে আঘাত করলে তার মাথা ফাটিয়া যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ও সাক্ষী গন দৌড়াইয়া আসিয়া আমাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।

সেখানে আমরা পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরলেও আমার ছোট দুই ভাই ও ছোট মেয়েবর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।আমার ছোট ভাই কামালের ঘাড়েও হাতে সাতটি সেলাই ও আমার ছোট মেয়ে ফাহমুদার মাথায় দশটি সেলাই দেওয়া হয়।ফাইজার সরকার এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here