প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে, পুলিশসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।জানা গেছে, চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা (পূর্ব) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ও ঈগল প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী শামছুল হক ভুইয়ার অনুসারি হারুনুর রশিদ ও বর্তমান এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের অনুসারী তাবাসচ্ছুম’র সমর্থকদের মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হারুনুর রশিদ ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকে পরিষদ দখলে রাখেন ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা তাবাসচ্ছুম মাস্টার ও তার লোকজন। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে পৌঁছে চাল বিতরণের চেষ্টা করলে উভয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭-৮ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে, চাল বিতরণ নির্বিঘ্ন করতে উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য করে পুলিশ।সংঘর্ষে আহতরা হলেন- পুলিশের কনস্টেবল রেজাউল ও রাকিব, ফয়েজ উল্লা খান, শরাফত উল্লা খান, আরজু বেগম, ইতিসহ আরও অনেকে।ইউপি কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তাবাসচ্ছুম বলেন, চেয়ারম্যান যাতে ভিজিএফ চালের কার্ড নিয়ে কোনো অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য আমরা পরিষদে অবস্থান নিয়েছিলাম।
ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম হারুনুর রশিদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে যাতে আসতে না পারি এ জন্য তাবাসচ্ছুম ও তার দলবল গত তিন মাস ধরে আমাকে নানাভাবে বাধাবিপত্তি প্রদান করছে। ভিজিএফ চালের কার্ডের একটি অংশও তারা নিয়ে গেছে। আমি তাই পরিষদে আসার আগে গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার, ইউএনও মৌলী মন্ডল, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। এরপরও আমি হামলা থেকে রেহাই পাইনি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণের সময় ঝামেলা হতে পারে জেনে আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে মামলা দায়ের করা হবে।