প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে এনজিও সদস্যদের সঞ্চয়কৃত সোয়া দশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই সমিতির মাঠকর্মী মনোয়ার হোসেন (৩২)। সমিতির রেজিস্ট্রারের চেয়ে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক একাউন্টে সোয়া ১০ লক্ষ টাকা কম পাওয়ায় বুধবার সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন ওই কর্মী।
জানা গেছে, এ উপজেলায় বেসরকারি সংস্থা ফুড ফর হাঙরি (FH) এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিবর্তন সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ৭৬৩ জন সদস্য রয়েছে। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে সপ্তাহে ২০ টাকা করে সঞ্চয় বাবদ (জমা নেন) আদায় করেন ওই সমিতের মাঠকর্মী মনোয়ার হোসেন। মনোয়ার দীর্ঘ এক যুগ ধরে একই সমিতিতে কাজ করার সুবাদে সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় বাবদ আদায়কৃত টাকার কিছু অংশ নিজের কাছে রেখে বাকি টাকা সমিতির ব্যাংক হিসেবে জমা করতেন।
ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্ট এনে স্থানীয় একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে সদস্যদের কাছ থেকে আদায়কৃত সমুদয় টাকা উল্লেখ্য করে নকল স্টেটমেন্ট তৈরি করে সেই স্টেটমেন্ট সদস্যদের কাছে জমা দিতেন। মনোয়ারের কথাবার্তায় সমিতির সদস্যদের সন্দেহ হলে বুধবার ব্যাংকে এসে সমিতির হিসাব একাউন্টের স্টেটমেন্ট বের করলে এ তথ্য ফাঁস হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাঠ কর্মী মনোয়ার হোসেন বলেন, সদস্যদের কাছ থেকে যা আদায় করেছি সেখান থেকে নিজ প্রয়োজনে কিছু টাকা খরচ করেছি।
সদস্যদের আপাতত বুঝ দেয়ার জন্য নকল স্টেটমেন্ট তৈরি করে জমা দিয়েছি। আমার সেটা ভুল হইছে, আমি সেই টাকা সদস্যদের আস্তে আস্তে ফেরত দিয়ে দেব।বিবর্তন সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি মনুখে পাড়া এলাকার পাখি বেগম জানান, প্রায় এক যুগ ধরে মাঠকর্মী মনোয়ার হোসেন আমাদের সদস্যদের কাজ থেকে সঞ্চয় বাবদ উত্তোলন করেছেন ৪০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮২৯ টাকা। যাহার ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি করে আমাদের কাছে দিয়েছে।
মনোয়ারের উপর সন্দেহ হলে আজ সোমবার ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি আমাদের হিসেবে জমা আছে ৩০ লক্ষ ২১ হাজার ৭৪২ টাকা মাত্র। সদস্যদের বাকি ১০ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭ টাকা মনোয়ার হোসেন আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টা নিয়ে মনোয়ার সদস্যদের তোপের মুখে পড়ে আত্মসাতের করর কথা স্বীকার করায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম খান মিলন বলেন, সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মীকে তালতলী সোনালী ব্যাংক থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। সে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।