প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মো. হৃদয় নামের এক কিশোর গ্যাং একটি কাওমী মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে এক শিক্ষক ও এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের দারুল উলুম সুজায়েতীয়া নুরানী ও হাফেজী মাদ্রাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মারধরের স্বীকার মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি মুরাদ হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, শুক্রবার সন্ধায় কিশোর গ্যাং মো.হৃদয় মাদকাসক্ত অবস্থায় মাদ্রাসার সামনে এসে হঠাৎ মাদ্রাসার ছাত্র মো.শরিফকে মারধর শুরু করে। এ সময় শরিফের ডাকাচিৎকার শুনে মাদ্রাসার শিক্ষক মুরাদ এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
এসময় কিশোর গ্যাং হৃদয়ের পিতা এনায়েত হোসেন, মা দিলরুবাও শিক্ষক ও ছাত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা এসে শিক্ষক মুরাদ ও ছাত্র শরীফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শশীভূষণ থানায় নিয়ে আসেন। তিনি আরও জানান, এতেও তারা ক্ষান্ত হননি চরফ্যাশন থেকে কিশোর গ্যাংয়ের আরও সদস্য এনে শশীভূষণ থানায় মধ্যে তাদের উপর দ্বিতীয় দফা হামলার চেষ্টা করে। পরে শশীভূষণ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তারা রক্ষা পান।
মুফতি মুরাদ হোসেন আরও বলেন, এঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং হৃদয় তার পিতা এনায়েত হোসেন ও মাতা দিলরুবা বেগমসহ তিনজনে আসামী করে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শশীভূষণ থানার অফিসার এনচার্জ (ওসি) ম.এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রকে মারধরের ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয়ের পিতা এনায়েত হোসেন বলেন, তার ছোট ছেলেকে মসজিদে মাদ্রাসার ছাত্র শরীফ মারধর করে। এ ঘটনা জিজ্ঞাসা করতে তার বড় ছেলে হৃদয় মাদ্রাসা যায়। তখন দু পক্ষের মধ্যে বাকবিত-া হয়।