দখল হয়ে যাচ্ছে মহেশপুরের পুড়াপাড়া বাজারের কোটি টাকা মুল্যের সরকারী জমি

0
দখল হয়ে যাচ্ছে মহেশপুরের পুড়াপাড়া বাজারের কোটি টাকা মুল্যের সরকারী জমি

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারের কোটি টাকা মুল্যের সরকারি জমি একের পর এক  দখল করে দোকান ঘর ও বাসাবাড়ী নির্মান করে চলেছে এলাকার দখলকারীরা। মহেশপুরের পুড়াপাড়া বাজারটি একটি বড় বাজার, এখানে রয়েছে পশু হাট, সাধারণ হাট, মহিলা মার্কেট, স্বর্ণ পট্টি, চুরি পট্টি, কাপুড়ি পট্টিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বনাথপুর মৌজার পুড়াপাড়া বাজারের এস,এ ১নং খতিয়ান ভূক্ত ৫ দাগে ৪০ শতক, ৮ দাগে ২.০৪ শতক, ১০ দাগে ২.৫৬ শতক, ১১ দাগে ৮১ শতক, ১৪ দাগে ৬৭ শতক, ১২ ও ২৯ দাগে ৭৫ শতক মোট ৭ একর ২৩ শতক জমি পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পক্ষে কালেক্টর যশোর এর নামে এস,এ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও ভূমি দস্যুরা বাজারের প্রায় সব সরকারী খাস জমি দখল করে নিয়েছেন।

ফলে বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসানোর কোন জায়গা নেই। সম্প্রতি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে উত্তম কুমার নামে এক স্বর্ণকার একটি মার্কেট ও বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া হাইস্কুল রোডের ৮ ও ১২ নং দাগে খাস ও পেরিফেরিভূক্ত জমির উপর ওয়াজ্জেদ আলী নামে এক ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে সরকারি জমি কি ভাবে যেন ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে।

যার কারণে সবাই সরকারি জমি দখলের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। অনেকে সরকারি জমি দখল করে দোকান নির্মান করে অন্যের কাছে ভাড়াও দিয়ে রেখেছেন। মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, পুড়াপাড়া বাজার এই থানার একটি বড় বাজার । সেখান থেকে সরকার প্রতি বছরে দেড় থেকে ২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকেন।

কিন্তু সেই বাজারে দখল কারীদের কারণে হাট বসানোর মত সরকারী খাস জমি এখন আর নেই বললেই চলে। সব জমি ব্যক্তি নামে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিন জানান, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুবতাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, সরকারী জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর যারা সরকারী জমির উপর দোকান ঘর নির্মান করেছে তা অপসারনের ব্যবস্থা করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার দাস বলেন, সরকারী জমি যারা দখল করেছে তাদের কাছ থেকে দখল মুক্ত করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here