প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ‘ সর্ষের মধ্যে ভূত ‘ কথাটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় সর্বপ্রচলিত একটি আপ্ত বাক্য। অর্থাৎ ভূত তাড়ানো হয় যে সর্ষ দিয়ে, সেই সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে বা ভর করে তাহলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় !? কিংবা ফসলের ক্ষেত রক্ষার জন্য যদি বেড়া দেয়া হয়, সেই বেড়া-ই যদি ফসলের ক্ষেত খেয়ে ফেলে তাহলে অবস্থাটা হবে কি ?!
‘রক্ষক যদি ভক্ষক’ হয় তাহলে সমাজ-সভ্যতার পরিস্থিতি কোন্ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, একবার ভেবে দেখবেন কি ? তেমনি একটি লোমহর্ষক অথচ ভয়াবহ পরিস্থিতি দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবত বিরাজ করছে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অভ্যন্তরে। এহেন চাঞ্চল্যকর ঘটনা জেলা সদর, ৮ উপজেলাসহ সর্বত্র চাউর হয়ে পড়ায় থলের বিড়ালের ন্যায় ধীরে ধীরে বেরিয়ে পড়ছে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের সাথে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অভ্যন্তরের ত্রিরত্নরূপী তিন পেটি কর্তা যথাক্রমে সেন্টু রঞ্জন নাথ, মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম পরস্পর গোপন যোগসাজসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা হাতিয়ে নেয়ার চমকপ্রদ নানা অপ্রকাশিত গোপন রহস্যের কায়-কারবারের জমজমাট সব বাণিজ্য।
এর ফলে চাঁদপুর জেলা মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় এবং প্রতিনিয়ত দেদারসে ফ্রি-স্টাইলে মাদক কেনা ও বেঁচা এবং পাচার অব্যাহত থাকে। বস্তুতঃ এসব কারণেই চাঁদপুর জেলা মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে উঠে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এই তিন কর্তার গোপন সহযোগিতায় চাঁদপুরের চিহ্নিত মাদক কারবারিরা নির্ভয়ে-নির্দ্বিধায় দেদারসে ফ্রি-স্টাইলে মাদক কেনা ও বেঁচা এবং পাচার করেছে অব্যাহতভাবে। চিহ্নিত মাদক কারবারিরা ওই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে গোপনে আগেভাগে অভিযানের খবর পেয়ে যাওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় চাঁদপুরসহ চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কোন অভিযানই শেষ পর্যন্ত আর সফল হয়নি।
এসব অভিযানের গোপন তথ্য উল্লেখিতরা চাঁদপুরের চিহ্নিত মাদক কারবারিদের পূর্ব থেকে জানিয়ে দেয়ার ফলে চিহ্নিত মাদক কারবারীদের মালে-বর্গায় ধরা কোনভাবেই ধরা সম্ভব হয়নি। এর বিনিময়ে উল্লিখিত তিন কর্তা গোপনে সংশ্লিষ্ট ও চিহ্নিত মাদক কারবারীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছে। পক্ষান্তরে তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে স্বীয় বিভাগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার পাশাপাশি চাঁদপুর জেলাব্যাপী মাদক কেনা ও বেঁচা এবং পাচার সহজীকরণে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে দেশ ও জাতির সাথে বেইমানি করায় দুঃসাহস পেয়েছে।
গোপন সহযোগিতার মাধ্যমে সর্ষের মধ্যে ভূতের অবস্থান নেয়ার এসব ভয়াবহ পরিস্থিতির খবর সর্বত্র ফাঁস হয়ে পড়ায় নড়ে চড়ে বসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এবং চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ। খবর সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্ত ও গোপন সূত্রের।
একটি বিশ্বস্ত ও গোপন সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলম হবিগঞ্জ জেলায় বদলি হওয়ার পর পর অত্র কার্যালয়ের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণভার গোপনে ও প্রকাশ্যে অলিখিতভাবে নেন বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ওই দুই কর্মকর্তা মোঃ পিযার হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম। তারা চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ইমদাদুল ইসলাম মিঠুনকে প্রভাবিত করে ভুল তথ্য দিয়ে মাসি-পিসির ঘুম পাড়িয়ে রাখে।
যার ফলে তসেসময় খুব একটা বড় ধরনের সফল অভিযান পরিচালিত হতে দেখা যায়নি। সাবেক সহকারি পরিচালকও ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর সহজ- সরলতার সুযোগে এবং তাঁর অজ্ঞাতসারে ওই তিন কর্মকর্তা চিহ্নিত মাদক কারবারিদের সাথে চাঁদপুর জেলা শহরসহ আট উপজেলাব্যাপী সিন্ডিকেট বাণিজ্য গড়ে তোলে। এর ফলে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবত চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উক্ত দুই কর্মকর্তার সাথে চাঁদপুরের সকল চিহ্নিত মাদক কারবারীদের বিশেষ সখ্যতা গড়ে ওঠে।
তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে মাদক কারবারের জমজমাট বাণিজ্য। বিশেষ মাধ্যমে খবর নেয়া হলে জানা যাবে, সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের উক্ত কর্মকর্তারা বর্তমানে কি পরিমান স্থাবর-অস্থাবর, সম্পদ-সম্পত্তিসহ অর্থ-বৃত্তের মালিক !? সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক সেন্টু রঞ্জন নাথ, উপ-পরিদর্শক মোঃ পিয়ার হোসেন ও সহকারি উপ- পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম; এদের মধ্যে পিয়ার হোসেন ও সাইফুল ইসলাম যথাক্রমে দীর্ঘ ৪ বছর এবং ৫ বছর যাবত চাঁদপুর জেলায় কর্মকালীন থাকায় বড় বড় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ও বিশেষ সখ্যতা গড়ে তোলে।
সেইসাথে মাদকের বড় বড় গডফাদারদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলে। সাবেক সরকারি পরিচালককে বোকা বানিয়ে অর্থাৎ ভুল তথ্য দিয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা হাতিয়ে নিয়ে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলে। সরকারি পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলম যোগদানের পর হতেই মাদকের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন দুর্বার আন্দোলন এবং সাঁড়াশি ও চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখে চলেছেন। এতে চাঁদপুরের চিহ্নিত ও বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়।
দিদারুল আলমের যোগদানের পর হতেই আবার মাদকবিরোধী অভিযান বৃদ্ধি পায় এবং তাঁর একের পর এক সাঁড়াশি ও চিরুনি অভিযানে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা বেসামাল হয়ে পড়ে। তাঁর দুই মাস কার্যকালীন সময়ে বড় বড় এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাঁড়াশি ও চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাদক উদ্ধার এবং বেশ ক’জন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়। যা সচেতন চাঁদপুর জেলাবাসীর কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। পক্ষান্তরে এর ফলে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উক্ত তিন কর্তা এবং চিহ্নিত মাদক কারবারি ও বড় বড় মাদক ব্যবসার গডফাদারদের গাত্রদাহ বা চক্ষুশুল হয়ে ওঠেন দিদারুল আলম।
তারই প্রতিক্রিয়াস্বরূপ উভয় পক্ষের স্বার্থান্বেষী গ্রুপ গোপনে দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। সূত্র আরও জানায়, এসব চক্রান্তকারী ও ষড়যন্ত্রকারী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সিন্ডিকেট গডফাদার এবং দীর্ঘদিন একই স্টেশনে অবস্থানকারী দুর্নীতিবাজ ও সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ওই কর্মকর্তারা তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য হলুদ সাংবাদিকতার বিষ-বৃক্ষরূপি বহিরাগত আরও তিন খতরনাককে (যাদের আমল নামায় অপরের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি সার্টিফিকেট জাল করায় সরাসরি সাহায্য- সহযোগিতা করে ‘ক্লাস টু’ পর্যন্ত পড়া কালা ভোম্বলকে ইন্টারমিডিয়েট পাস বানিয়ে প্রকাশ্যে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমের সাথে দীর্ঘ বেশ ক বছর যাবত সরাসরি দুর্নীতি এবং প্রতারণা করার একের পর এক দুঃসাহস দেখানোসহ অসংখ্য দুষ্কর্মের উপযুক্ত সাক্ষ্য- প্রমাণসহ একাধিকবার জেল-হাজত খাটার সরকারি রেকর্ড রয়েছে) মোটা অংকের টাকার লোভের ফাঁদে ফেলে তাদের দ্বারা নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে সচেতন চাঁদপুরবাসীকে বিভ্রান্ত করা।
এসব পঙ্গপাল মোটা অংকের টাকায় লাভবান হয়ে দুটি মোটর সাইকেলযোগে দৌড়-ঝাপ দিয়ে চলেছে। সেইসাথে তারা চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে গোপনে মিলিত হয়ে পরস্পর পরস্পরের সাথে নানা শলা-পরামর্শের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলার উক্ত প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে বিপদে ফেলার জন্য সর্বৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ফাঁদ পাতার জঘন্যসব চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অপর একটি বিশ্বস্ত ও গোপন সূত্র জানায়, মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন উপ-পরিদর্শক এবং মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী উপ-পরিদর্শক যথাক্রমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, চাঁদপুরে বিগত ০৭/০৬/২০২০ এবং ০৪/০৯/২০১৮ ইং হতে অদ্বদি কর্মরত রয়েছেন ।
মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন, উপ-পরিদর্শক হিসেবে চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে যোগদানের পর হতে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে অত্র জেলায় কর্মকালীন সময় দীর্ঘ হওয়াতে মাদক অপরাধ দমন ব্যতিরেকে ক্রমান্বয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং নিবিড় সখ্যতা গড়ে তোলেন। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোন মাদক মামলা উদঘাটিত হচ্ছে না। উপ-পরিদর্শক মোহম্মদ পিয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে গোপনে ও প্রকাশ্যে খোঁজ-খবর নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় । মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসিক ভিত্তিতে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে। তার কারণেও গুরুত্বপূর্ণ বড় ধরণের মামলা উদঘাটন না হওয়ার পিছনে তার যোগসাযোস রয়েছে। অভিযান শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে তার সাথে সম্পৃক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে সংবাদ সরবরাহ করা হয় মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা চিহ্নিত মাদক কারবারীদের আগেভাগে জানিয়ে দেওয়াতে বড় মাদক মামলা উদঘাটিত হচ্ছে না। এতেকরে অধিদপ্তরের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।
উল্লেখ্য য়ে, তিনি অত্র জেলাতে দীর্ঘ ৩ বছরের অধিককাল সময় কর্মরত রয়েছেন। পক্ষান্তরে মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী উপ-পরিদর্শক চাঁদপুর জেলায় বিগত ০৪/৯/২০১৮ সাল হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৫(পাঁচ) বছরের অধিককাল সময় ধরে অত্র কার্যালনে কর্মরত রয়েছেন। এই কার্যালয়ে সিপাই হিসেবে ০৪/৯/২০১৮ সালে এবং পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে ১৪/১০/২০২১ সাল হতে কর্মরত রয়েছেন। তার কর্মকালীন সময় দীর্ঘ হওয়াতে ক্রমান্বয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েন এবং কঠিন সখ্যতা গড়ে তোলেন।
মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে। তার কারণেও অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে মাদক উদ্ঘাটনের রহস্য। মাদক উদঘাটন না হওয়ার পিছনে তারও গোপন যোগসাজস রয়েছে। অভিযান শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ সম্পৃক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে সংবাদ সরবরাহ করা হয় মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়। এরই সাথে নতুন যোগ হযেছেন গাড়িচালক ওমর ফারুক রাজন। সে মাদকব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তি রযেছে মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলম চাঁদপুর জেলা ডিবি রিকুইজিশন করে ২ টি বড় অভিযান করেছেন। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীদেরেকে আগাম খবর জানিয়ে দেয়ায় অভিযান সফল হয়নি। যা চাঁদপুরের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) অবগত রয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলায় কর্মরত পরিদর্শক,, উপ-পরিদর্শক ও সহকারি উপ-পরিদর্শকসহ মাদক কারবারীদের সাথে সখ্যতা ও সংশ্লিষ্ঠতা থাকায় সহকারী পরিচালক সাহেব উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলামকে অন্যত্র বদলীর জন্য উধ্বর্তন কর্তুপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক সুপারিশপত্র পাঠান গোপনীয়ভাবে।
এসব গোপনীয় তথ্য জেনে যাওয়ার পর পরিদর্শক থেকে সিপাই পর্যন্ত সকলে সহকারি পরিচালককে চাঁদপুর জেলা হতে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সকলে একটি পত্রে স্বাক্ষর করে মহাপরিচালক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের নিকট পাঠান। কোন নিয়ম-নীতির ধার ধারেন নাই। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায় যে, যত লক্ষ টাকা লাগুক কোন সমস্যা নেই। সহকারী পরিচালককে বদলী করে ছাড়বে তারা। এই হলো তাদের প্রতিজ্ঞা। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফর উল্লাহ কাজল বিষয়টি মীমাংসার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারকার্যালয়ে গত শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় সকল সদস্যকে ডাকেন। তাদের কথা শুনেন। তাদের সমঝোতা করে চাকুরি করতে বলেন।
কিন্তু পরিদর্শক হতে সিপাই পর্যন্ত কেউ অতিরিক্ত পরিচালকের কথা রাখেননি। তারা সকলে সহকারী পরিচালকের বদলী দেখতে চাই মর্মে আদা জল খেয়ে লেগেছে বলে গোপন সুত্রে জানা যায়। উপ-পরিদর্শক অত্র জেলাতে ৩ বছর ৫ মাস যাবত এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক ৫ বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরত থেকে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন। চাঁদপুরের এমন কোন বড় মাদক ব্যবসায়ী নেই যেখানে তাদের সাথে সখ্যতা নেই। অনতিবিলম্বে মাদকদ্রব্যের উক্ত ৩ কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে বদলী করা জরুরি বলে অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক এবং সচেতন মহল মনে করেন।
তা না হলে মাদকের এ ভয়াবহ করাল গ্রাস হতে চাঁদপুরের যুব সমাজ তথা চাঁদপুরবাসীকে বাঁচানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। সূত্র আরও যানায়, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম- এর বাড়ি কুমিল্লাতে। সে বড় বড় মাদকের গডফাদার বড় স্টেশন ক্লাব রোডের মিলন, রানা বড় স্টেশনের লোক কলোনী, রহিম, রাসেল পুরান বাজার কবরস্থান, জসিম মিয়াজি,জসিম মাজি ওরফে ঘষা জসিম, বাঘ শাহজাহান,নেভি সাদ্দামসহ অন্যান্যদের সাথে কুমিল্লা হতে মাদকের ব্যবসা করে। মাদক ব্যবসায়ী যখন মাদক নিয়ে আসে তখন রোডে সিগনাল লাইন ম্যানেজের কাজ করে। এ কারনে চাঁদপুরে বড় কোন চালান ধরা পড়ছে না। এ অপ-শক্তিদেরকে প্রতিহত করা একান্ত দরকার।
পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত সেন্টু রঞ্জন নাথ ১৫ লক্ষ টাকার বেশি টাকা দিয়ে বদলী হয়ে এসেছেন চাঁদপুরে। তার টাকা তাকে তুলতে পরিদর্শক মরিয়া হয়ে উঠেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ। এজন্য মাদক কারবারিদের সাথে সকলে মিলে মাসিক চুক্তিতে সখ্যতা গড়ে তোলে। ইতোপূর্বে উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন মর্মে মাদক কারবারীর আবেদনের প্রেক্ষীতে উল্লেখিত ২ কর্মকর্তাসহ রেইজিং টীমের বিরুদ্ধে ফেনী জেলার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান শরীফ তদন্ত করেন।
দীর্ঘদিন এ জেলায় কর্মরত থাকায় এদেরকে বদলী করার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু! কোন্ খুঁটির জোরে এখন পর্যন্ত বদলী হননি তা বিশেষভাবে রহস্যজনক। তাদেরকে বদলি করার বিষয়টিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন সু-দৃষ্টি দিবেন বলে অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।