প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর (ঝিনাইদহ)সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগ উঠেছে।বাঁশবাড়ীয়া ইউুিনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ভ্যাট ও আয়করের সমুদ্বয় অর্থ পরিশোধের জন্য সচিবের নিকট দিলেও আজ পর্যন্ত সচিব জমা দেননি।
এমনকি ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধের অফিসিয়ালী কোনো ডকুমেন্টও দেখাতে পারেনি। তবে সচিবের দাবি ভ্যাট ও আয়করের ৪লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তাহলে আর ১০লাখ টাকা কোথাই গেলো?বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাত করেছেন।
২০২১-২২ অর্থ বছরে মকরধ্বজপুর জরিনার বাড়ি হইতে খাল অভিমুখে ড্রেন নির্মান, ভৈরবা হাটের ড্রেনের উপর ইটের গাতনি ও প্লাস্টার, বাশবাড়ীয়া আতিয়ারের বাড়ির উত্তর পাশ হইতে কোদলা নদী অভিমুখে ড্রেন নির্মান,ভৈরবা শুকুর আলীর বাড়ির সামনে বক্স কালভার্ট নির্মান,মতিলালপুর মোড় হইতে শাকোরখাল হাসপাতাল অভিমুখে রাস্তার পাশে ড্রেন সংস্কার ও ভোলাডাঙ্গা কাচা বাজারের হাট চালি সংস্কার বাবদ বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা দিলেও আজ পর্যন্ত ২০২১-২২ অর্থ বছরের ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেননি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম।বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন,আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬ মাস কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ সময় ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে এর ভ্যাট ও আইটি বাবদ ১ লাখ ৫২ হাজার ২শত টাকা আমি সচিবের নিকট দিয়ে দিয়েছি।
তিনি এ টাকা অফিসে জমা দিয়েছেন কি না আমার জানানেই। যদি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে থাকে তাহলে সে নিজে নিশ্চিত আত্মসাত করেছেন।ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরের সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের ৪ লাখ টাকা সারকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
বাকি ১০লাখ টাকা কোথায় গেলো জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, আমি বিষয়টি জানার পর বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামকে টাকা পরিষদের রশিদ দিতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি এখনও দেন নি। তাই তিন কার্যদিবসের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের রশিদসহ হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।