প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা অদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ইস্টিমেট তৈরী করা হয় যাত্রী ছাউনির গোল ঘরটি। গোলঘরটির এডিবির অর্থায়নে নির্মান করা হলেও আজও যাত্রীরা বসতে পারছেনা। শুধু নামে মাত্র যাত্রী ছাউনি বানিয়ে রাখা হয়েছে। যাত্রী ছাউনিতে নেই কোন টিনসেট।
যে কারনেই কোন যাত্রী খোলা আকাশের নিচে বসছেনা।গ্রামবাসীরা জানান, যাত্রী ছাউনির জন্য লোহার এঙ্গেলের দাম ধরা না হওয়ায় যাত্রী ছাউনি ছাড়াই ঘোলঘর নির্মান করে উদ্ধোধনের ফলক লাগিয়ে বরাদ্ধের ১ লাখ টাকা উত্তলন করে নিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার ফলে এলাকার মানুষের মাঝে হাস্যকর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী ছাউনি ছাড়ায় উদ্বোধনের দুই মাস পার হলেও ওই গোলঘরটি যাত্রীদের কোন কাজে আসছে না।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রাখালভোগা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় যাত্রী ছাউনি ছাড়াই গোলঘর উদ্বোধন করা হয়েছে।জানাগেছে, এডিপির ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাখালভোগা বাস স্ট্যান্ডে একটি যাত্রী ছাউনি(গোলঘর) নির্মাণে ১লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গত জুন মাসে ওই কাজের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ছাউনি না থাকায় দুই মাস পার হলেও ওই গোলঘর কোন কাজে আসছে না।
পথচারী ও এলাকাবাসীরা জানান, সরকারী টাকা যদিনয়-ছয় হয় তাহলে কি আর কাজ ঠিক মত হবে। এমনি ছাউনি ছাড়া গোলঘর নির্মান হবে।ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া জানান,ইস্টিমেটে ছাউনিতে লোহার এঙ্গেলসহ বিভিন্ন মালামালের দাম না ধরায় ও নির্মান কাজের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ঠিকাদার ছাউনি ছাড়াই গোলঘর নির্মান করে চলে যায়। পরে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিছু বরাদ্ধ এনে ছাউনির কাজ শুরু করেছি।ঠিকাদার ফলক হোসেন জানান, ওই গোলঘর নির্মাণে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তবে ইস্টিমেটে লোহার এঙ্গেলের মূল্য না ধরায় এ গোলঘরের ছাউনির কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান জানান, এডিপির বরাদ্দে ওই গোলঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ১ লাখ টাকায় ওই কাজ তোলা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ছাউনিতে লোহার এঙ্গেলের দাম ধরা না হওয়ায় ছাউনির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করা হয়েছে, দ্রতই যাত্রী ছাউনির কাজ শুরু করা হবে।