গৌরীপুরে সেতুর অভাবে দুই উপজেলার ২০ গ্রামবাসীর দূর্ভোগ

0
গৌরীপুরে সেতুর অভাবে দুই উপজেলার ২০ গ্রামবাসীর দূর্ভোগ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের নাওভাংঙ্গা পাকা সড়ক হইতে পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নগর যাত্রাপুর যাওয়ার পথে ভাংনামারীর সীমানায় কাচামাটিয়া নদীর উপর সেতু না থাকায় বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাকো দিয়ে চলাচল করে দুই উপজেলার২০ গ্রামের মানুষ। এতে ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার গ্রামবাসী।

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজার জাত করতে অনেক সমস্যার সন্মূখিন হতে হয়। মূমুর্ষ রোগী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে গৌরীপুর উপজেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী এলাকা নাওভাঙ্গা গ্রাম। দুই উপজেলার সংযোগ সড়কের কাচামাটিয়া নদীর উপর ২০ বছর ধরে বাঁশের সাকো নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা। পথচারীদের পারাপারের জন্য নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে পথচারীদের চলাচলের সুবিধা করেছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে প্রতিদিন নদীর উপর নির্মিত এই সাঁকো দিয়ে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা, নাপ্তের আগলী, খোদাবক্সপুর, ভোলার আগলী, কাশিয়ারচর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের তাহেরপুর, যাত্রাবাড়ী, বেগুনবাড়ি, ফতরাবাজ বায়রা, কাজির বায়রা, কোনাপাড়াসহ প্রায় ২০ টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করে। স্থানীয় নাওভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাশিদ জানান নদীটি আমাদের উপজেলার সীমানায়। আমাদের ভাংনামারী ইউনিয়নে একটি মাত্র হাইস্কুল রয়েছে।

গ্রাম থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীরা পার্শবর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে লেখা-পড়া করে। শিক্ষার্থীরা এ বাঁশের সাকোঁর উপর দিয়ে চলাচল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। অনেক সময় সাকোঁ পারাপারের করতে গিয়ে আহত হন। অনেক রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে তিন থেকে চার কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ সাকোঁ দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করা যায় না। আমরা গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা হলেও গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শহর আমাদের কাছে। আমরা খুব কষ্টে আছি।

তারুন্দিয়া ইউনিয়নের নদীর পূর্ব পারের বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান আমাদের দুই উপজেলার সীমান্তে নদীর উপর বাঁশের সাকো। দুই উপজেলার লোকজন মিলে গ্রাম থেকে বাঁশ নিয়ে আমরাই এসাতোঁ নির্মাণ করেছি। এই ব্রীজটা যদি হতো আমাদের বিরাট উপকার হইতো। ২০ বছর ধরে কষ্ট করছি, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম ডাঃ ক্যাপ্টেন অবঃ মুজিবুর রহমান ফকির সাহেবকে বলে ছিলাম ব্রীজের প্রয়োজনের কথা। উনি আজ বেঁচে থাকলে এ ব্রীজটা হয়ে যেত।

বর্তমান সাংসদকে অবহিত করা হয়েছে। বল্লেন ভাংনামারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারী। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয়েছে। কাচামাটি নদীর উপর একটি ব্রীজের খুব প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে ব্রীজ নির্মাণের জন্য অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেজামূল হক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here