ভোলার শশীভূষণে দেড় যুগ পরেও ক্রয়কৃত জমির দলিল বুজে পাননি প্রবাসী

0
ভোলার শশীভূষণে দেড় যুগ পরেও ক্রয়কৃত জমির দলিল বুজে পাননি প্রবাসী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার পশ্চিম এওয়াজপুর মৌজায় ৫.৮৫ একর জমি ক্রয় করার দেড় যুগ পরেও দলিল বুজে পাননি প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন। দলিল বুজে পেতে ক্রেতা মো. হেলাল উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত ৩০ জানুয়ারী মালিক (বিক্রেতা) হাজী আব্দুল বাসেদ গংদের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। আদালতের ওই আদেশের পর বাসেদ গংরা ক্রেতা হেলাল উদ্দিনকে দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। অব্যাহত হুমকিতে প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, প্রবাসে থাকা কালীন ২০০৫ সনে এওয়াজপুর সাকিনের এছহাক পণ্ডিতের ছেলে হাজী আব্দুল বাসেদ গংদের কাছ থেকে ৫.৮৫ একর জমি ক্রয় করেন।

বায়না চুক্তির পর ২০০৫ সনের ৩০ জুন পশ্চিম এওয়াজপুর মৌজার এস এ ৭৭/১ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের ওই জমির দলিল করতে গিয়ে দেখা যায় ভূলবসত ওই জমি সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত রয়েছে। পরে দলিল সম্পাদক করা আর যায়নি। বিক্রেতা বাসেদ গংরা কাগজপত্র সংশোধন করে পরবর্তীতে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সরজমিনে আমাকে ৫.৮৫ একর জমির দখল বুজিয়ে দেন। আমি ওই জমিতে গরু, হাঁস. মুরগী, মাছ ও তরী তরকারীর খামার গড়ে তুলি।

বাসেদ গংরা প্রতারনার আশ্রায় নিয়ে আমাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে এবং ওই জমি অন্যত্র বিক্রির পায়তারা করছে। ফলে আমি ন্যায় বিচারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এ বিষয়ে গাজী আব্দুল বাসেদ বলেন, আমার সাথে হেলাল উদ্দিনের কোন জমির বায়না চুক্তি হয় নাই। সে শুধু শুধু আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here