বরগুনা তালতলীতে ওএমএসে’র চাল বেশী দামে বিক্রি

0
বরগুনা তালতলীতে ওএমএসে’র চাল বেশী দামে বিক্রি

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে ওএমএস’র চাল বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া
গেছে। শনিবার শারিকখালী ইউনিয়নের ওএমএস’র ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাধিক কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা এ অভিযোগ
করেন। জানা গেছে, সারাদেশে ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছে সরকার।

এ হিসাবে প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবে ৪শত ৫০টাকায়। কিন্তু সরকারের এ মহান উদ্যোগের ব্যাতিক্রম ঘটিয়ে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদার ৩০ কেজির ১বস্তা চাল বিক্রি করছে ৫শত টাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের কচুপাত্রা বাজারের অফিসে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিন বাদুরগাছা গ্রামের ছাইদুল ইসলাম, নুরুল হক হাওলাদার ও আলআমিন খান জানান, ওএমএস ডিলার কাওসার হাওলাদারের উপস্থিতিতে এবং তার সরাসরি নির্দেশে ডিলারের লোকজন কার্ডধারী সকলের কাছ থেকেই প্রতি ৩০ কেজির বস্তায় ৫শত টাকা করে রেখেছে। মধ্য বাদুরগাছা গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান,শুক্রবার বিকেলে ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের কচুপাত্রা বাজারের অফিসে গিয়ে সে কার্ড দিয়ে ১বস্তা চাল নেয়ার জন্য ৪শত ৫০ টাকা দিয়েছেন।

তার কাছে ডিলার সাহেব নিজেই চেয়ে আরও ৫০ টাকা রেখেছেন। উত্তর কচুপাত্রা গ্রামের মোশারেফ হোসেন জানান, বহু তর্ক করেও ৫শত টাকার কম দিতে পারিনাই। বাদুরগাছা গ্রামের মোহাম্মাদ আলী খানের স্ত্রী বিলকিচ বেগম জানান, অভাবের কারনে তার স্বামী চট্টগ্রামে থেকে কাজ করেন। সে কারনে তার স্বামীর নামের চালের কার্ডটি নিয়ে ডিলারের কাছে গিয়ে বহু অনুরোধ করছিলাম কিন্তু স্বামী আসলে চাল দিবে বলে এখন চাল না দিয়েই ফেরত দিয়েছে।

শারিকখালী ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৩০ কেজি চালের দাম ৪শত ৫০ টাকাই। তবে পুরাতন কার্ড বাদ দিয়ে চালের সাথে নতুন কার্ড দেই তার খরচ ৩০ টাকা ও ৩/৪জন লোক রেখে কাজ করাইতেছি তার খরচ হিসেবে ২০টাকা মোট ৫০টাকা বেশী রাখি। শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক খান বলেন, ওএমএসের ৩০ কেজির এক বস্তা চালের দাম ৪শত ৫০টাকা। কিন্তু ডিলার নিচ্ছে ৫শত টাকা। এটা দেখার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের। কিন্তু আমি নব নির্বাচিত।

এখনও সফথ হয়নি এবং দায়িত্ব পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি। সে ৩৫ জনের কাছ থেকে টাকা বেশী নেয়ার কথা স্বীকার করে ওই টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেছে। তবে এর তদন্ত পূর্বক তার ডিলারসীপ বাতিলের ব্যবস্থা করবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here