আরএমএস স্থানান্তরে তিতাস কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ব্যাহত হচ্ছে ডিএনডির উন্নয়ন কাজ

0
আরএমএস স্থানান্তরে তিতাস কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ব্যাহত হচ্ছে ডিএনডির উন্নয়ন কাজ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষের গড়িমসির কারণে সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যাহত হচ্ছে ডিএনডি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ। একাধিক লিখিত অবেদন করলেও একটি আর,এম,এস ( রেগুলেটর মিটার সংযোগ ) স্থানান্তর না করার অভিযোগ উঠেছে তিতাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ফলে দুর্ঘটনা ও গ্যাস সংকট আতঙ্কে ভোগছেন গ্রাহকরা। গ্যাস না পেয়েও দিতে হচ্ছে বিল।

জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে ডিএনডির পানি নিস্কাসন খালের পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। মেসার্স রনি রাইমস্ চুনা কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য স্থাপিত আর,এম,এস স্থানান্তর না করায় পানি চলাচল সচল রাখতে বাইপাস খাল খননে বিঘ্ন ঘটচ্ছে। খনন করতে গিয়ে বেকুর আঘাতে ভেঙে যায় গ্যাস সরবরাহের পাইপ। ফলে এলাকায় পাঁচ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর তিতাসের লোকজন তড়িগড়ি করে মেরামত করেন। তবে আর,এম,এস সরায়নি। ঘরটি ভাঙ্গা হলেও গ্যাস সরবরাহের আর,এম,এসটি খোলা আকাশের নিচে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আসঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।  রনি রাইমস্রে মালিক চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন, ডিএনডি প্রকল্প শুরু হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ করার সময় থেকেই আর.এম.এসটি স্থানান্তরের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিক লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। সর্বশেষ ১৪ দিনের মধ্যে আর,এম,এস সরিয়ে নিতে ১ নভেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ড চিঠি দেন। বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাই।

তখন নারায়ণগঞ্জ তিতাসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, ডিজিএম মামুন ও মিটার রিডিং অফিসার গিয়াস উদ্দিন তিতাসের তালিকাভূক্ত ঠিকাদার হেলালসহ সরেজমিন পরিদর্শন করে আর,এম,এসটি দ্রুত স্থানান্তরের আশ্বাস দেন। স্থানান্তর খরচ বহন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রায় এক মাস ধরে তিতাস অফিসে ধর্ণা দিলেও স্থানান্তর করছেন না। দুই মাস ধরে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। অথচ প্রতিমাসে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ করার আবেদন করলেও সারা দিচ্ছেননা তিতাস কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চুনা কারখানা মালিকের অভিযোগ, দুই ইঞ্জি পাইবের গ্যাস দিয়ে কারখানা চলেনা। অথচ বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে। অনেকই তিতাস কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে বৈধ ভাবে দুই ইঞ্জি আর অবৈধভাবে ৪ ইঞ্জি পাইবে গ্যাস ব্যবহার করছে। আমরা বৈধভাবে ৪ ইঞ্জি পাইবে গ্যাস সরবরাহের আবেদন করলেও আমলে নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন কর্তৃক গ্যাসের মূল্যহার বাস্তবায়ন ও শ্রেণি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট গেজেটভূক্ত হয়।

চুনা কারখানা হয় শিল্প থেকে বাণিজ্যিক গ্রাহক। সরকারি এআদেশ গোপন রেখে শিল্প গ্রাহক হিসেবে বিল নিতে থাকে তিতাস। পরে ২০২১ সালে হঠাৎ প্রত্যেক চুনা শিল্প মালিকদের ২ থেকে ৩ কোটি টাকা বিল বকেয়ার চিঠি দেয়। কারণ জানতে চাইলে তিতাস কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক লাইনের বিল করার কথা বলেন। ফলে সকল মালিকরা দিশেহারা হয়ে যায়। এঅবস্থায় এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন নিয়মিত বিলের সঙ্গে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে কিস্তিতে বকেয়া বিল পরিশোধ করার সুযোগ দেন।

মালিকদের অভিযোগ প্রথম থেকে বাণিজ্যিক বিল করলে বকেয়ার গ্লানি টানতে হত না। রিডিং অফিসার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আর,এম,এসটি স্থানান্তর পক্রিয়াধিন আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হবে।নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ডিজিএম মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ডিএমডি আনিছুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here