প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারন রোগীরা। ছাদ থেকে পড়ে মাথায় গুরুত্ব আঘাত পাওয়া রুবেল নামের এক যুবক। হাসপাতালে আনার পর দীর্ঘ আধা ঘন্টায় চিকিৎসাই মিলেনি। গিয়াসউদ্দিন বলেন,এটা হাসপাতাল নাকি অন্য কিছু। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর অনেক কাকতি, মিনতি করেও সেখানে আর চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর বাধ্য হয়ে ঢাকায় নিয়ে গেছেন। ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের ভোলাইন শান্তিনগর এলাকায় একটি ৫ তলা ভবনের ছাদ থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রুবেল পড়ে যান বলে জানান তাঁর বড় ভাই মো. সেলিম। তিনি বলেন দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আনার পর মাথায় ব্যান্ডেজ করে ফেলে রাখেন চিকিৎসকের সহকারী।
জানতে চাইলে জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে জান। এরপর ফেলেই রাখলেন, কাকতি-মিনতি করার পরেও চিকিৎসক রোগী দেখলেন না। রাস্তার কুকুর যেভাবে পড়ে থাকে, সেভাবেই আমার রোগীটাকে ফেলে রেখেছে। আহত রুবেলের বাবা গিয়াসউদ্দিন জানান,এখানে রোগী নিয়ে আসলেই বলে ঢাকা নিয়ে যান, ঢাকা নিয়ে যান। তাহলে এই হাসপাতাল কেন করেছে?জানা গেছে, ওই সময় জরুরী বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মো. নাজমুল হোসেন। জরুরী বিভাগে ঢুকে তাকে পাওয়া যায়নি। রোগী দেখছেন, তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এস কে ফরহাদ জানান,এ ধরণের কথা আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযোগ পাই না। তাই ব্যবস্থা নিতে পারি না। যেহেতু জানতে পেরেছি। ঘটনাটি সিভিল সার্জন স্যারকে জানিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে, বিকাল ৪টায় এই প্রতিবেদককে রুবেলের বড় ভাই সেলিম জানান, ঢাকা মেডিকেল আনার পর মাথার বেন্ডিস খুলে সিলাই দিয়েছেন, কিছু ওষুধ ও পরীক্ষা দিয়েছেন। এখন আগের থেকে অবস্থা ভালো। এটা নারায়ণগঞ্জেই করতে পারতো।