প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু এখন আর কোন স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তব। এই সেতুর শেখ হাসিনার স্বপ্নের সেতু। এই সে তো আমাদের সামর্থ্য সক্ষমতা সেতু। এই সেতু একদিকে সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক, অন্যদিকে আমাদেরকে যে অপমান করা হয়েছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধ এর প্রতীক। রবিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-একে পদ্মা সেতুর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা একা নয় গোটা পরিবারকে বঙ্গবন্ধুর পরিবার কে টার্গেট করা হয়েছে। পদ্মা সেতু জন্য অপমানজনক বক্তব্য দিয়েছিলো। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা শেখ হাসিনা তিনি সেদিন জোর গলায় বলে ছিলেন আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। সেদিন আমাদের আমাদের আশেপাশে অনেকেই ছিল, অনেকে বিদ্রুপ করেছিল। আমাকে বলেছিলো কি মন্ত্রী এসব বুদ্ধি দিচ্ছো এটাকি হবে কোনদিন। এসব আমাদের সহ্য করতে হয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য। মন্ত্রনায়লে যারা ছিলো প্রত্যেককে এরেস্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলো।
তিনি আরো বলেন,কানাডার আদালত রায় দিলো পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি। নির্দোষ বলে কানাডার আদালত রায় দিলো। বিশ্বব্যাংক ২০১২সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যায়, প্রধানমন্ত্রী সেতু ঘোষনার পর এই সেতু করতে কতযে ঝুঁকি আমাদের নিতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করেছে উভয় পাড়ের জনগন। তাদের প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই। যতই সমালোচনা হয়েছে আমাদের মনোবল আরো দৃড় হয়েছে। সেতুর উদ্ধোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মাওয়াপাড়ে উদ্ধোধনের পর তিনি সুধীসমাবেশে অংশ নিবেন। পড়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ওইপাড়ে যাবেন। সেখানে ভাষণ দিবেন। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসের সোনালি ফসল,
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে মন্ত্রী আরো জানান, পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে সবাইকে ইনভাইট করবো৷ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে বেগম খালেদা জিয়া সবাইকে ইনভাইট করা হবে। সক্রিয় ও ম্যানুয়ালি দুই পক্রিয়ায় আদায় হবে টোল, সেতুর স্থায়ীত্বকাল ১০০বছর। সেতু চালু হলে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ পড়লে পরিকল্পান বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সংশয় ছিলো। সেটা যখন আমরা করতে পেরেছি এসব চাপও সহ্য করতে পারবো। ২৬তারিখ ভোর ৬টা থেকে গাড়ি চলাচল করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদের চীপ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম,সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।