প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আনিছুর রহমান (রলিন) প্রতিনিধি জেলা মুন্সিগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামে এক যুবককে গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রেমিক ছেলেটি সিরাজদিখান ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালেচিকিৎসাধীন আছে। তার দুটি পা দুর্বৃত্তরা ভেঙ্গে দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সাবেক সদস্য জয়নাল মেম্বারের নাতনির সাথে প্রেম করে আসছিল সাইফুল ইসলাম (রাজন) নামে এক যুবক। ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে তারা দুজনে পালিয়ে যায়। তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকার পরিবার। সাইফুলের লেখাপড়া ও পরিবারিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আপত্তি ওঠে প্রেমিকার পরিবার থেকে। মোবাইল ফোনে গত ৮জানুয়ারী বালুচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে জয়নাল মেম্বারের বাড়িতে সাইফুলকে ডেকে নিয়ে চালানো হয় বর্বরোচিত নির্যাতন। অমানুষিক নির্যাতন করায় দুদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে যুবক।
আহত সাইফুল ইসলাম রাজনের নানা জজ মিয়া বলেন,আমার নাতীর অবস্থা বর্তমানে অত্যান্ত খারাপ। আমরা তাকে বাচানোর জন্য ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যাবো। তারা আমার নাতীকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অমানবিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তার দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। মাথায় আঘাত করে দুই স্থানে বড় বড় গর্ত করেছে। এছাড়া লাঠিসোটা দিয়ে মেরে শরীরে নিলাফোলা করা হয়েছে। দুদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আমার নাতী। আলমগীরের নেতৃত্ত্বে তার ভাই ভাতিজারা মিলে একজন ছেলেকে হাতপা বেঁধে আছর নামাজ ওয়াক্ত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেরেছে। জানিনা আমার নাতীর ভাগ্যে কি আছে? আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত মো.আলমগীর বলেন, গত দুই মাস আগে আমার ভাতিজিকে অপহরণ করছে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার ভাসতিকে উদ্ধার করে আনছে। আর ছেলেটাকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বিচারকের আদেশে জেলে জেতে হয় পরে হহাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেছে এক সপ্তাহ আগে। এসেই আমাদের হুমকি দিয়েছে। পরে শুক্রবার দিন খোঁজখবর লইয়া দেখছে আমাদের বাড়িতে লোকজন কম আছে। এ দেখে লোকজন নিয়ে ভাসতিকে উঠায় নিতে আসে। তখন আত্মীয়-স্বজনরা ধরে তাকে গণধোলাই দিছে।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত আজগর হোসেন, আজ মঙ্গলবার বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক যুবককে মারধর করা হয়েছে এ ঘটনায় ওই যুবকের পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে । আসামিদের ধরতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।আসামিরা পলাতক রয়েছে।