আপনাদেরও একদিন চিকিৎসার জন্য হাইকোর্টের বারান্দায় দাড়াতে হতে পারে : তৈমুর

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, একদিন ক্ষমতায় আপনিও থাকবেন না, আপনাদেরও হাইকোর্টের বারান্দায় জামিনের জন্য দাড়াতে হবে। আপনাদের চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে হবে।

আমরা কথা দিচ্ছি, আপনার যখন চিকিৎসার প্রয়োজন হবে তখন আপনার সাথে এরুপ আচরণ করা হবে না। আপনারা যে আচরণ করেছেন আমরা সেরকম আচরণ করবো না।সোমবার (২২ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তৈমুর।

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল তিনটায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে যোগ দিতে আশেপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে গেলে বাধ সাধেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসময় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে তাদের নিবৃত্ত করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নেতাদের। পরে চাষাঢ়া বালুরমাট এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা।

এসময় তৈমুর বলেন, আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুশায়ন্নে আছেন। নিজ পছন্দ মত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা কিছু হলেই বিদেশে চলে যায় চিকিৎসার জন্য। বাংলাদেশের চিকিৎসা যদি এত উন্নতই হত তবে হাজার হাজার লোক মন্ত্রী মিনিস্টাররা কেন দেশের বাইরে যান চিকিৎসার জন্য। দুটি কারনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। হয়ত তাকে জেলখানায় রেখে অপচিকিৎসা করা হয়েছে। যে চিকিৎসার কারনে তিনি দিন দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তিনি যদি বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বিচার হবে।

তিনি বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। পাকিস্তান আমলে দেখেছি ভুট্টো বলেছিল, উই কেন নট গো বিওন্ড দা কনস্টিটিউশন অফ পাকিস্তান। সে বলেছিল আমরা পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার বাইরে যেতে পারি না। ঠিক সেই ভাষায়, সেই চোহারা নিয়ে আনুসল হক বলে আইনে বাধা, যেতে পারবেন না। আইন কী এটার ব্যাখ্যা আমরা জানি। আপনারা আমাকে বলতে শোনেন আমি বিভিন্ন টকশোতে ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আইনমন্ত্রী মহদোয়কে বলছি, আপনি যদি পারেন এর ব্যাখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আপনি সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক শপথ নিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে আপনি যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক আপনি আপনার মন মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এভরি একশন হ্যাজ এ অপজিট রিএ্যাকশন। সে রিএ্যাকশনে আওনারাও পড়বেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, খন্দকার মনিরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম রবি, জাহিদ হাসান রোজেল, রুহুল আমিন সিকদার, আনোয়ার সাদাত সায়েম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here