প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা: শনিবার বিকালে মহেশপুরে প্রতারক চক্রের হোতো ইসমাইল হোসেন আবির চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে আটক। পরে তাকে নিয়ে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত মটরসাইকেল, ৬টি দামি মোবাইল,খেলনা
পিস্তল ও মোবাইলের একাধিক সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ সময় তার সহযোগী উত্তম আটক হয়।
মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গা থানা সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন আবির(৩৫) দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি ও সেনা অফিসারের পরিচয় দিয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। একই কৌশলে মোবাইল ও মটরসাইকেল ছিনতাইয়ের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, সু-নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর স্কুল পাড়ার প্রতারক ইসমাইল হোসেন আবিরকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে তাকে সাথে নিয়ে মহেশপুরে অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী বিমল দাসের ছেলে উত্তমকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে চুয়াডাঙ্গায় ছিনতাই হওয়া ৬টি দামি মোবাইল ওএকাধিক মোবাইলের খাপ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উক্ত আবির দীর্ঘদিন ধরে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে প্রতারনা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে আসছিল। গত কয়েক বছর আগে ঢাকা কচুক্ষেতে মনি বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে তার ভাইপোকে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে।
গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৪লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার প্রতারনার এক ডজন বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় একটি ভূয়া এনজিও খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে ছিল। রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ আবির ও তার সহযোগীকে আদালতে সোপর্দ করে।