ভোলার চরফ্যাশনে ১৬৫ পিস মরা মুরগীসহ এক ব্যবসায়ী আটক

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন বাজারে ১৬৫ পিস মরা মুরগীসহ মো. ইয়াছিন (৩৫) নামে এক মুরগী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে চরফ্যাশন বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিনের দোকান থেকে এ মরা মুরগী উদ্ধার করা হয়।

মুরগী ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন চরফ্যাশন পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের কালিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা তাজল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র মো. মোরশেদ চরফ্যাশন বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মো.ইয়াছিনের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩টি বস্তাভর্তি ১৬৫ পিস মরমুরগি উদ্ধার করেন। এবং দোকান মালিক মুরগী ব্যবসায়ী মো.ইয়াছিনকে আটক করে পৌর ভবনে নিয়ে আসেন।

এ সময় তার সাথে চরফ্যাশন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আকতারুল আলম সামু,চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।আটককৃত মো. ইয়াছিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৪শতমুরগী ক্রয় করে চরফ্যাশনে নিয়ে আসেন। গাড়ি থেকে নামানোর পর দেখি কিছু মুরগী মারা গেছে। মরা মুরগীগুলো বিক্রির উদ্দেশ্য ছিলোনা।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সোভনবসাক বলেন, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বণ ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যুহয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মরা মুরগীগুলো চরফ্যাশন পৌরসভার দায়িত্বে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।  এ ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে মুরগী ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here