শিবগঞ্জ পৌরসভায় তিন সতীনের ‘ভোটের’ লড়াই

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ গল্প, উপন্যাসে “সতীন” মানেই খল চরিত্র, ঝগড়াটে বা খারাপ কিছু বোঝায়। কিন্তু বাস্তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে, ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মাজেদা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার জয়ের জন্য দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অন্য দুই সতীন।

তিন সতীনের একই সঙ্গে ভোট চাওয়ার বিষয়টি ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকজন ভোটার বলেন, বর্তমান সময়ে যখন সতীনের মধ্যে মুখ দেখা-দেখি পর্যন্ত হয় না, তখন এক সতীনের জয়ের জন্য বাকি দুই সতীনের অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোট চাওয়ার বিষয়টি বিরল ঘটনা।

স্থানীয় ভোটাররা জানান, মাজেদা বেগম নারী আসনের ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতীন মিনু বেগম,রেনু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আব্দুস সামাদকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত জয়ের আশায় ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে বেড়ান। বন্তেঘরী গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, ‘সতীন মানেই যে খারাপ কিছু নয় তা আব্দুস সামাদের স্ত্রীরা তার প্রমাণ। তিন সতীনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ এনে দিয়েছে। তিনি এখন পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী।

এ বিষয়ে মাজেদা বেগম বলেন সতীন মানেই শত্রু মনে করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবান। সতীনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। নির্বাচিত হলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবো। আব্দুস সামাদ বলেন আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারে। তাদের এই মধুর সম্পর্ক ভোটাররা জানতে পেরে সবাই খুশি।

উল্লেখ্য, আব্দুস সামাদের চার স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন মাজেদা বেগম। তিনি গত নির্বাচনে জয় লাভ করে বর্তমানে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনেও তারা চার সতীন মিলে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। নির্বাচনে যাবতীয় খরচ আব্দুস সামাদের বড় স্ত্রী দিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here