নবীনগরে যুবদলের কর্মীসভা পুলিশী হামলায় পন্ড, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত-১০৩

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নবীনগর সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায় আগের দিন পুলিশী বাঁধার পর যুবদলের সাংগঠনিক ও কর্মীসভা করা নিয়ে দিনভর উত্তেজনার পর অবশেষে আজ শুক্রবার (২৩অক্টোবর) বিকেলে যুবদলের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সংঘর্ষ হয়। এতে কুমিল্লা বিভাগীয় টিমের টিম প্রধান ও যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আশরাফ, যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আল মামুন লিমন, যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ,সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালালসহ যুবদলের ১০৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে প্রেসনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের এক নেতা  ।

পুলিশেরর বেধড়ক মারধরে সভা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এ সময় পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে। জানাগেছে, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে চাঙ্গা করার লক্ষে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এবং উপজেলা যুবদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ হোসেন রাজুর নেতৃত্বাধীন অপর গ্রুপটি নবীনগর মহিলা কলেজে পৃথক দুটি সাংগঠনিক সভা আহবান করে। কিন্তু গতকাল রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ডাকবাংলোতে পুলিশী বাঁধায় আজকের সভা করা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পুলিশের বাঁধার পর যুবদলের দ্বিধাবিভক্ত নেতাকর্মীরা আজ দিনভর ঘরোয়া বৈঠক শেষে বিকেলে পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে সাবেক বিএনপি নেতা মরহুম মদন মিয়া মেম্বারের বাড়িতে  গোপনে দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অবশেষে সাংগঠনিক সভায় মিলিত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করলে, সভা পন্ড হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে কেন্দ্রীয় নেতাসহ কমপক্ষে১০৩ জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। অপরদিকে যুবদলের কর্মীদের ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, দু’টি গ্রুপের কাউকেই সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আলিয়াবাদ গ্রামে কয়েকশো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক সভার আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সভাটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here