প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় নান্না বিরিয়ানীর নামে প্রতারণা করছে। নামে বেনামে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে বিরিয়ানী হাউজ। উপজেলার ভূলতা ও গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ড জুড়ে দেখা যায়, লাল শালু কাঁপড় পেঁচানো মেজবানি ডেকে রান্না করা বিরিয়ানী বিক্রি করতে।
মোটা মোটা চাউল, অনেক দিন আগের প্যাকেটের মহিষের মাংস দিয়ে তৈরি হচ্ছে নান্না বিরিয়ানী। সম্প্রতি ওই নান্না বিরিয়ানীর বিরুদ্ধে তরতাজার আড়ালে পঁচা-বাসি বিরিয়ানী বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। খাবার তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, কর্মচারীদের অসন্তোষজনক আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। ভাল মানের হিসেবে স্টিকার-সাইবোর্ড লাগানো বাংলার সেরা পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নান্না বিরিয়ানী হাউজ। অথচ ঢাকার বাইরে হাজী নান্না বিরিয়ানীর কোন শাখাই নেই।
আর ঢাকার মধ্যে এর শাখা আছে আটটি। এই এলাকায় রেজাউল করিম নামে এক লোক নান্না বিরিয়ানী হাউজ নামে প্রতারণার ফাঁদ খুলে বসেছে। এলাকায় নান্না বিরিয়ানী হাউজ নামক প্রতিষ্ঠানটি যদিও দেখতে ফিটফাট মনে হলেও ভিতরে সদরঘাট। জানা গেছে, ৩ অক্টোবর ১৪০ টাকা দরে চারটি বিরিয়ানীর প্যাকেট কিনেছিলেন রুবিনা নামের একজন মহিলা। তিনি বাসায় গিয়ে দেখেন চার প্যাকেট থেকেই গন্ধ বের হচ্ছে। শখ করে কিনে নেয়া বিরিয়ানী খেতে পারেননি। দুঃখের সাথে ফেলে দিতে হয়েছে।
এ অভিযোগ হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা পাত্তা দেয়নি। একই অভিযোগ তানজিলা নামের একজন শিক্ষার্থীর। সেও গাউছিয়া কাঁচাবাজারে নান্না বিরিয়ানী হাউজ থেকে দুই প্যাকেট বিরিয়ানী কিনে দেখে ১৪০ টাকা প্যাকেট বিরিয়ানীর মধ্যে ২০০ টাকার মাংস রয়েছে তা কি করে হয়? এ প্রসঙ্গে নান্না বিরিয়ানি হাউজের মালিক রেজাউল করিম সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওইদিন তিনি ছিলেন না।
বিষয়টি জানার পরে তিনি সবাইকে এ ব্যাপারে সর্তক করে দিয়েছেন বলে জানান। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, নান্না বিরিয়ানি হাউজের খাবারের মান নিয়ে অবগত আছি, অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।