দলের দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের পাশে থাকতে যেকোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: গিয়াসউদ্দিন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে দক্ষ যে ক’জন রাজনীতিক রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি নেয়া অভিজ্ঞ এই রাজনীতিক কখনো দায়িত্ব পালনে পিছপা হননা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন তার অনুসারি নেতাকর্মীরা।

তারা বলছেন, রাজনৈতিক মাঠে অভিজ্ঞতার কারণে ২০০১ সালে বিএনপির তৎকালিন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন চৌধুরী গিয়াসউদ্দিনকে বিএনপিতে যোগদান করান। তখন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও তাকে লুফে নেন এবং তার প্রতি আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন তুলে দেন। ফলশ্রুতিতে সে নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের অত্যন্ত প্রভাবশালী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

গিয়াসউদ্দিন অনুসারিরা আরও বলেন, এক এগারর সরকার যখন আসে তখন গিয়াসউদ্দিনকে জিয়া পরিবার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মিথ্যা অভিযোগে কারাবন্দি করা হয়। সেসময় তিনি যদি দলের সাথে বেঈমানি করতেন তাহলে তাকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি থাকতে হতো না। তিনি দলের প্রতি অনুগ্যত এবং জিয়া পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে দলের চরম দুঃসময়েও সরে যাননি।

শুধু তাই নয়, এরপর থেকে দল যতবারই গিয়াসউদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছে ততবারই তিনি সেই দায়িত্বকে কর্তব্য মনে করে তা পালন করেছিলেন অক্ষরে অক্ষরে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে নিজের মুক্তিযোদ্ধা ভবন ছিল নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত। প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা থেকে শুরু করে গণসংযোগ সব কিছুই ওই বাড়ি থেকেই করতে তিনি। যার সাক্ষী সে সময়কার দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ২০১৬ সালে দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষেও একই অবস্থা ছিল। যা কেন্দ্রও অবগত রয়েছে বলে দাবি করেন গিয়াসউদ্দিন অনুসারি নেতাকর্মীরা।

এদিকে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে ৬৭, ৬৮ এবং ৭০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রতিদিনই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করেন। গণসংযোগ থেকে শুরু করে নির্বাচনী নানা দিক নির্দেশনার জন্য একাধিক ঘরোয়া সভাও করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে এই নির্বাচনে এই তিনটি ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীক নির্বাচিত হয়। যা কেন্দ্র অবগত এবং এ নিয়ে কেন্দ্রও তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ আলোচনা এখনও হচ্ছে।

গিয়াসউদ্দিন অনুসারি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দলটির তৃণমূল অনেকেই বলছেন, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন দায়িত্বশীল একজন নেতা। রাজনীতিতে তার রয়েছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ এই পথ প্ররিক্রমায় তিনি দলের দুঃসময়ে কীভাবে কর্মী সমর্থকদেরকে চাঙ্গা করতে হয়, কীভাবে দল গুছাতে হয়, তা বেশ ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু নিজ দলের একটা শ্রেণির রোষানলে পড়ে তিনি বারবারই অবমূল্যায়িত হয়েছেন। একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর চক্ষুশূলে পরিণিত হয়েছেন অভিজ্ঞ এই রাজনীতিক।

তবে, জিয়া পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে এখনও নিজের মত করে দলের জন্য সক্রিয় রয়েছেন তিনি। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মী আসেন তার কাছে। তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য দিয়ে যাচ্ছেন নানা ধরণের পরামর্শ। অর্থাৎ নেতৃত্বে না থেকেও দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে নিভৃতেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, দল যদি তাকে মূল্যায়ন করে এবং কোনো দায়িত্ব তার উপর অপর্ণ করে তাহলে সে দায়িত্ব নিতে একটুও কুণ্ঠাবোধ করবেন না মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তিনি সানন্দে সে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিবেন বিনা বাক্যে। কিন্তু সুবিধাবাদী একটি পক্ষ বিশেষ করে সরকারের সাথে আঁতাত করে চলা পক্ষটি চায়না গিয়াসউদ্দিন দলের কোনো দায়িত্বে আসুক। ফলে তারা পর্দার আড়ালে থেকে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি কথা উঠেছে দলের দায়িত্ব দিতে চাইলেও তা ফিরিয়ে দিয়ে দূরে সরে থেকেছেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। দল যদি আমাকে কোনো দায়িত্ব দেয় তাহলে তা সানন্দে গ্রহণ করবো। সেটি আমার কর্তব্য মেনে নিয়ে পালন করবো। ইতোপূর্বে দল যতবারই দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করেছি। কখনও পিছপা হইনি।

গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আমি এবং আমার পরিবার জিয়া পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। ফলে দলের এই দুঃসময়ে দলের জন্য যদি কিছু করতে পারি তাহলে সেটি হবে আমার জন্য পরম পাওয়া। দলের নির্দেশ, আদেশ পালনে আমি সর্বদাই সচেষ্ট। দলের কাছে আমার কোনো চাওয়া নেই। দল যখন যেখানে আমাকে খাটাতে চাইবে, আমি সেখানেই সর্বশক্তি নিয়োগ করে কাজ করবো। এটা আমার আমৃত্যু প্রতিশ্রুতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here