না’গঞ্জে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত : পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঠিকাদার মিজান

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারাণগঞ্জের ফতুল্লয় মিজানুর রহমান নামে এক ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে ৩৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৎস অধিদপ্তরের এক প্রকৌশলী ও তার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে প্রকৌশলী জাকির হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও তাদের অব্যাহত হুমকি-ধামকির কারণে ঠিকাদার মিজান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

মিজানের স্ত্রী আফরোজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ৩ শিশু সন্তান নিয়ে তারা ফতুল্লার আলীগঞ্জে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। আমার স্বামী মিজানুর রহমান ঢাকা মৎস অধিদপ্তরের লাইসেন্সধারী ঠিকাদার। এ সূত্রে মৎস অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় ডিউক মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। সম্পর্কের জের ধরে বড় বড় কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় ডিউক মিয়া ২০১৬ সালের ২৮ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। এরপর মিজানুর রহমানকে ৮০টি টেন্ডারেও অংশ গ্রহণ করায় জাকির হোসেন। এরমধ্যে একটি টেন্ডারও পায়নি মিজানুর রহমান। এতে মিজানুর রহমান তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাগিদ দেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, প্রকৌশলী জাকির টাকা ফেরৎ না দিয়ে টাকা চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে পুলিশে তার ওসি-এসপি আত্মীয় রয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা, ডাকাতিসহ বড় বড় মামলায় গ্রেফতার করিয়ে সারাজীবন জেলে রাখবেন। তাদের এমন হুমকির পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মিজানুর রহমান প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় ডিউক মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রমনা থানাকে আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ বলেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রকৌশলী জাকির হোসেন। তিনি মিজানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে অব্যাহত ভাবে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। এ কারণে মিজানুর রহমান পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর থেকে একদিনও ঘরে ঘুমাতে পারেনি মিজানুর রহমান। যখন তখন মিজানকে ফোন করে বলছে এখনই পুলিশ যাচ্ছে তকে ধরতে থাকিস ঘরে। মিজানুর রহমানের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান (সুইট) জানান, সিএমএম আদালতে সিআর মামলার আবেদন করা হয়। আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে রমনা থানার ওসিকে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশ পেয়ে এসআই মুরাদ নামে একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তদন্তকারী অফিসার এসআই মুরাদ বলেন, একটি মামলা তদন্তের জন্য অন্তত ২/৩ মাস সময় প্রয়োজন। তদন্ত চলছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, মিজানুর রহমান মিথ্যা মামলা করেছে। তার সঙ্গে আমার কোন দেনা পাওনা নেই। মিজানুর রহমান ও ডিউক এ দুজনের মধ্যে ব্যবসায়ীক দেনা পাওনা নিয়ে বিরোধ চলছে। এখানে আমাকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here