প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত বিল আসে, অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়, সেবার মান ভালো না এমন নানা অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটির বন্দরের নবীগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও সহ রাস্তা অবরোধ সহ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রি-পেইড মিটার অপসারণের দাবিতে প্রায় কয়েক হাজার লোক এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০টা হতে নবীগঞ্জ অফিস ঘেরাও করে রাখে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার লোকজন। মিটার বিতরণকারী সংস্থাগুলোর কাছেও অভিযোগ জানিয়েও তেমন কোন সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল কবির, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রহিম, মিনহাজ উদ্দিন আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিটি প্রি-পেইড মিটারের জন্য মাসে মিটার রেন্ট বা মিটার ভাড়া বাবদ একজন গ্রাহককে ৪০ টাকা এবং তিন স্তরের মিটারের জন্য ২৫০ টাকা গুনতে হয়। একই সঙ্গে ৫০ টাকা দিতে হয় ডিমান্ড ফি হিসেবে। অন্যদিকে মাসে একবার এই ফি পরিশোধের নিয়ম থাকলেও প্রতিবার মিটার রিচার্জের সঙ্গে সঙ্গেই ৯০ টাকা বা ৩১০ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, বাসাবাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনায় থাকা এসব মিটারের ফি স্থাপনার মালিকদের পরিশোধ করার কথা। কিন্তু বেশিরভাগ ভবনমালিকই এসব ফি ও ভাড়ার বোঝা চাপিয়েছেন ভাড়াটিয়াদের উপর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিপাকে পড়ছেন ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়ারা। এমনকি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রকার সমাধান পাচ্ছেন না তারা। বিদ্যুৎ অফিসের নবীগঞ্জ (এজিএম) মোহাম্মদ সোলায়মান আহম্মেদ জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গণশুনানি হবে। আমার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তা জানাবো।