মতলব উত্তরে ১৮০টি সরকারি প্রাথমিকে ৬৩ প্রধান,৭২ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে

0
মতলব উত্তরে ১৮০টি সরকারি প্রাথমিকে ৬৩ প্রধান,৭২ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম, এতে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এক রকম নুয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। উপজেলার ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। চাকরি থেকে অবসর এবং মৃত্যুজনিত কারণে বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকের ওই পদগুলো শূন্য হয়, যা পরে আর পূরণ হয়নি।

এছাড়াও ৭২টি সহকারী শিক্ষক পদও শূন্য রয়েছে। এদিকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ওই পদগুলো শূন্য থাকায় পাঠদানসহ দাপ্তরিক নানা কাজে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি সার্বিক শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও ছেংগারচর পৌরসভায় ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

৮ থেকে ১০ বছর হলো উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসর, মৃত্যু ও সরাসরি প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ না থাকায় ৬৩টি পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। আর ওই সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই প্রধান শিক্ষকের পদ সামলাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করাতে পারছেন না।আবার প্রধান শিক্ষকের একটি পদ শূন্য থাকার মানে বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা। এছাড়া নিয়মিত একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে দাপ্তরিক কাজসহ বিদ্যালয় পরিচালনা করতে পারেন,একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠে না।

এ কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ প্রায় এক দশকেও আর পূরণ হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ চালানোর জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টাকরছে।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, উপজেলার ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৭২টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তবে ৬৩ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া আছে। এর পরও দাপ্তরিক কাজ ও পাঠদানে কিছু সমস্যা থেকেই যায়।

এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। কারণ নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন। সংকট থাকলেও আমরা সুষ্ঠভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here