মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নে দৃষ্টিনন্দন রাস্তানির্মাণ হওয়ায় গ্রামবাসীর মাঝে বইছে খুশীর জোয়ার

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃকামরুজ্জামান হারুন নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলবের সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া-উত্তর টরকী দৃষ্টিনন্দন কাঁচা মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।সংযোগ সড়কটি প্রায় ২.৫ কি.মি.হবে। এ স্বপ্নের সড়ক নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে বইছে খুশীর জোয়ার। রাস্তা নির্মানের ফলে খুশীতে আত্মহারা অনেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইন্দুরিয়া, নয়াকান্দি, মজলিশপুর, বলাইরকান্দি ও উত্তর টরকী গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তার জন্য অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতেন।

বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি শুকিয়ে গেলে সড়কে অনেক কাঁদা মাটি জমে থাকতো।ফলে কাদামাটি পেরিয়ে তাদেরকে সড়কে চলাচল করতে হতো।
এতে অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়াটা ছিল তাদের কাছে বিষ বাস্পের মতো। বিশেষ করে শিশুদেরকে নিয়ে চলাচল করাটা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাঁদা মাটি পেরিয়ে যাওয়া আসা করত। দীর্ঘদিনের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাংখিত সড়ক নির্মাণের অভাবটা অবশেষে পূর্ণ হওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাদের প্রিয় মানুষ সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক খোকন।তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সার্বিক তত্বাবধানে রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে।

২০২১-২০২২ অর্থ বছরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২.৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যের এ রাস্তাটি নির্মাণের ফলে অত্র এলাকার লোকজন অনেক উপকৃত হবে। সুলতানা বাদ ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গনমাধ্যম কর্মী শেখ ওমর ফারুক জানান, রাস্তা না থাকায় অনেক কষ্ট করেছি। কাঁদামাটির উপর দিয়ে আমাদেরকে বাজারে যেতে হতো। তাছাড়া পাঁকা ধানের সময় জমি থেকে ধান কেটে রাস্তার অভাবে অনেক দূর ঘুড়ে বাড়ীতে আসতাম।

এখন রাস্তা নির্মাণের ফলে আমাদের সে কষ্টটুকু আর থাকবেনা। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে জমি থেকে ধান কেটে সহজে রাস্তায় উঠে বাড়ীতে ফিরতে পারবো। কি যে আনন্দ লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক খোকন এর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও সার্বিক তত্বাবধানের কারণে আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের চলাচলে অনুপযোগী গ্রামীণ সড়কগুলো বর্ধিতকরনের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এ সংযোগ সড়কটি নির্মানের। রাস্তার পাশের ফসলী জমির ধানগুলো আনা নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ রাস্তাটি। এখন থেকে তাদেরকে আর কাঁদা মাটি দিয়ে কষ্ট করে বাজারে যেতে হবেনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আওরঙ্গজেব বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার জনগণ ও সাধারণ কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। আমি নিজে নিয়মিত প্রকল্পটি পরিদর্শন করে কাজের মানের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here