প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদপুর: চাঁদপুর মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে নিরীহ ,অসহায় ,গরিব ,বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পেছন দিক দিয়ে কল কাটি নারছে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সে ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করে। ওই মেয়েটি গত ঈদুল আযহা বাড়িতে আসে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাথাভাঙ্গা গ্রামের একই বাড়ির আলী আজ্জমের ছেলে লিওন সকলের অজান্তে অনৈতিক কাজ করে। পরবর্তীতে ওই মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানানো হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন গংরা পায়তারা চালায়। ইউপি সদস্য গোলাম হোসেনের চক্রান্তের কারণে এ ব্যাপারে তিনবার সালিশে বসে রায় বাস্তবায়ন হয়নি। যেহেতু নির্যাতিত মেয়েটির বাবা গরীব অসহায় এবং দিনমজুর। তাই বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এলাকার নিরীহ মানুষের প্রশ্ন গোলাম হোসেনের খুটির জোর কোথায়।
নির্যাতিত মেয়ের বাবা কবির হোসেন বলেন, আমি গরিব মানুষ। তিন বার সালিশ হয়েছে। এখনও রায় বাস্তবায়ন হয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন জানান, এলাকাবাসীকে নিয়ে সালিশ করেছি। সালিশের রায় হয়েছে ৫ লাখ টাকা কাবিন।সে সাথে ১ লাখ টাকা নগদ আদায় করে মেয়ের পক্ষকে দেয়া হবে। এ শুক্রবারে ওই ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন।