লালমনিরহাটে বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই সন্তান জন্ম, কিশোরীর জীবনই বিপন্ন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রতারকের ফাঁদে পড়ে বিপন্ন কিশোরীর জীবন। এখন নিরুপায় হয়ে ন্যয় বিচারের জন্য সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই মেয়েটির পরিবার।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের জোড়াশাল পাগলা বাজার গ্রামের মৎসজীবী সুদাব চন্দ্র দাসের কিশোরী মেয়ে। ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে দুঃখের সংসারে হাসি ফোটার স্বপ্ন ছিল সুদাবের। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বাস্তবে নিল ভিন্নরূপ। প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সুধান চন্দ্র দাস ওই মেয়েকে ফাঁদে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে মেয়েটি ১০ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়। কিন্তু মেয়েটিকে বিয়ে করতে নারাজ ধর্ষক সুধান চন্দ্র। এক পর্যায়ে মেয়েটি নিরুপায় হয়ে সুধান চন্দ্র, সহযোগি হোসেন আলী, সুবির চন্দ্র দাস ও পালন চন্দ্র দাসকে আসামি করে স্থানীয় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সুচতুর সুধান চন্দ্র ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে হোসেন আলীকে নিয়ে মেয়ের পরিবারকে ফুঁসলে ফাঁসলে বিভিন্ন ধরনের লোভ দেখিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ে করে।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু ওই সমঝোতা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বিয়ের দু’দিন পরেই মেয়েটি একটি নবজাতকের জন্ম দেয়। সমঝোতা বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু সুধান চন্দ্রকে ২৩ শতাংশ জমি কবলা করে দেয়ার চাপ দেয়। বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে হোসেন আলীর সহযোগিতায় ঢাকায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন মিরুর সহযোগিতায় মেয়েটি ঢাকা থেকে উদ্ধার করলেও তার সন্তানকে অন্যের কাছে দত্তক দেয়। পরে উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরী হাতীবান্ধা থানায় শিশু উদ্ধারের অভিযোগ করলে স্থানীয় থানা শিশুটিকেও উদ্ধার করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দেয়। অনেক চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, ধর্ষণের মামলার বিষয়ে আমার তেমন কোন তথ্য জানা ছিলনা। তবে উভয় পরিবারের সম্মতির কারণে আমি সমঝোতা করেছি মাত্র। হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, এ বিষয়ে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। লালমনিরহাট মেডিকেলে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here