করোনা জয় করে কাজে যোগ দিলেন মতলব উত্তরের আরএমও ডা. মেহেদী হাসান

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামাল হোসেন খান মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা : করোনা রোগীর সেবা দিতে গিয়ে সংক্রমিত হন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও)
চিকিৎসক ডা.মেহেদী হাসান (৩২)। প্রথমবার সুস্থ হওয়ার পর ফের তিনি করোনা শনাক্ত হন। তবু দমে যাননি মেহেদী হাসান। ধৈর্য, সাহস ও দৃ ঢ়তা দিয়ে করোনার সঙ্গে দুই মাস লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন তিনি। গত
শনিবার তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন।

করোনামুক্ত এ খ্যতিমান চিকিৎসককে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর তার সহকর্মীরা।মেহেদী হাসান চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও)। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচর গ্রামে। আরএমও ডা. মেহেদী হাসান গত ৬ ও ৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা দু’জনের চিকিৎসা দেন। পরে ওই দু’জন করোনা পজিটিভ হন। ১২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তিনিও করোনা শনাক্ত হন। এরপর তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন।

সেখানকার আইসোলেশন (বিচ্ছিন্ন) বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার পর ২৪ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় দুবার করোনা নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে ঢাকার বাসায় যান তিনি। তবে ২৮ এপ্রিল আবার জ্বর আসে চিকিৎসক মেহেদী হাসানের। ৩ মে পুণরায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নমুনা দেন। দ্বিতীয়বার তিনি করোনা পজিটিভ হন। বাসায় আইসোলেশনে থাকার পর ১৫ মের নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগেটিভ আসে।

করোনা জয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মতলব উত্তরের কৃতি সন্তান ডা.মেহেদী হাসান বলেন, প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে টানা দুই মাস নিয়ম মেনে সব কিছু করেছি। বেশি করে ভিটামিন সি ও ডি যুক্ত খাবার খেয়েছি। প্রতিদিন কয়েকবার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেছি। আদা-লবঙ্গ দিয়ে তিন-চারবার করে রং চা পান করেছি। হালকা ব্যায়ামও চালিয়ে গেছি। দৃঢ়তার সঙ্গে এ ভাইরাসকে মোকাবিলা করেছি। সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরাও আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।

মেহেদী হাসান আরও বলেন, দু’বার করোনায় সংক্রমিত হলেও হাল ছাড়িনি। সাহস, ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সুস্থতার জন্য লড়াই করে গেছি। টানা দুই মাস লড়াইয়ের পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। গত শনিবার কর্মস্থলে যোগ
দিয়ে পুনরায় রোগীদের চিকিৎসায় মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের সেবায় আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখব।’
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, দু’বার করোনায় সংক্রমিত হয়েও ওই চিকিৎসক যেভাবে মানসিক দৃঢ়তায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন, তা দৃষ্টান্ত। তাঁর জন্য
শুভকামনা। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপনের আহ্বান জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here