মহেশপুরে মিজান গুম নীলা ও রত্না হত্যা একই সুত্রে গাঁথা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ঝিনাইদহ সংবাদদাতা:মহেশপুর থানার যাদবপুরে মিজান গুম নীলা ও রত্না হত্যা একই সুত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৬ মে যাদবপুরের বৌদ্দপুরের চিহ্নিত মাদক সম্রাট রমজানের স্ত্রী রত্না (২৫) কে কে বা কারা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করা হয়েছে। ইতি পুর্বে রত্নার শশুর মিজানকে গুম ও শাশুরি নীলাকে হত্যা করে বস্তায় ঢুকিয়ে সেপ্টি ট্যংকিতে ফেলে দেয় হত্যাকারিরা।

বিগত ২২ বছরে মিজানের হদিস বা কোন মামলা না হলেও নীলা হত্যার এক আসামি জেল হাজত খেটে বাড়ি ফিড়েছেন কিছুদিন পূর্বে। যাদবপুর ঘুরে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন আমাদের সংবাদদাতা, কাপর ব্যাবসায়ি মিজান যশোর জেলায় বাড়ি হলেও ব্যবসায়ীক সুবাদে যাদবপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে সুন্দরী নীলাকে চোখে পড়ে তার। মিজানের পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মিজান বিয়ে করে নীলাকে। ব্যবসায়ীক কারনে ১৫/২০ দিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয় মিজানকে। এরই মাঝে তাদের সংসারে দু’টি ছেলে সন্তান রমজান ও ইমরান জন্মনেয়।

যাদবপুর পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ নীলাদের বাড়ির পাশে, উক্ত মসজিদের ইমাম একই এলাকার ওহাব মন্ডলের ছেলে ইব্রাহিমের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে নীলা। এদিকে মিজানকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছুদিন যেতে না যেতে দুধের বাচ্চা রমজান ও ইমরানকে রেখে নীলা ইব্রাহীমকে বিয়ে করে। ইব্রাহীমকে নীয়ে নীলা ঘর বাধে মিজানের বৌদ্দপুরের ক্রয়কৃত জমিতে। কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় নীলার উপর জুলুম অত্যাচার। ইব্রাহীমের অত্যাচারে সেদিন নীলা বলেছিলো তুই আমার স্বামী মিজানকে হত্যা করেছিস একথা সকলকে বলেদিব। একথা বলার পর সে রাতেই হত্যার শিকার হয় নীলা। বৌদ্দপুর থেকে গভীর রাতে বস্তায় করে মরা নদী বেতানা দিয়ে কয়েকজন ধরে এপারে ইব্রাহীমের পৈত্রিক বাড়ির সেপ্টিট্যাংকিতে ফেলে চাপাদিয়ে রাখে।

বস্তায় ভরে আনার সময় ঐরাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে মরা বেতনা নদীর তিরে আসে নীলার ভাই পান্নু, সে ভেবেছিলো হয়তো ভারত থেকে আনা অবৈধ মাল। পরে পুলিশ নীলার লাশ উদ্ধার করে এবং ইব্রাহীম জেল হাজত খেটে কিছু অর্থের বিনিময় আপোস মিমংসায় বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষা পেয়ে যায় আরো অনেক হত্যাকারিরা। এদিকে ইব্রাহীম ও নীলার বিয়ের কিছুদিন পর নীলার পৈত্রিক বাড়ির পেছন থেকে একটি মানুষের কংকাল পাওয়া গেলেও তরিঘরি করে তা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে নীলার ভাইরা। এদিকে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় নীলার ছেলে রমজান জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। প্রায়ই ভারত থেকে কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা বিনা পাসপোর্ট ভিসায় রমজানের বাড়ি আসা যাওয়া করতো।

অন্যদিকে নীলা হত্যার পারপেয়ে যাওয়া এক আসামির সাথে রমজানের গড়েওঠে সক্ষতা। তারা পার্টনারে ব্যবসা করে মাদকের। মাদকের টাকা নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝগরাও হয় তাদের মাঝে। এলাকাবাসি জানায় কিছুদিন পুর্বে ইয়াবাসহ র‌্যাব ৬ এর কাছে ধরিয়ে দেয় রমজানকে। বর্তমানে রমজান জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে রত্না হত্যার পরপরই বৌদ্দপুর এলাকার আয়নালের ছেলে সিরাজ ভারতে পারিয়ে গেছে, অনেকে বলছে সিরাজের সাথে রতœার ছিলো পরকিয়া। রত্নার মামা শশুর নান্নু ও তার ছেলে হৃদয় একাধিক মাদক মামলার আসামি।

এক মাদক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, রমজান গ্রেফতারের আগে আধাকেজি গাঁজা নিয়ে ৪ মাদক ব্যাবসায়ীর সাথে বিবাদ রয়েছে। রত্না হত্যার আগের দিন রমজান ও রত্নাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাদের হত্যা করবে বলেও জানান। অন্যদিকে কিছু জনসাধারনের দাবী মিজান গুম নীলা হত্যা ও রত্না হত্যা একই সুত্রে গাথা। আমরা চাই রতœা হত্যার প্রকৃত আসামির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here