মতলব উত্তরের গজরায় এনজিওর টাকা পরিশোধের পরও জেলে গেলেন,অসহায় হিন্দু নারী।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন:চাঁদপুর মতলব উত্তরে এনজিওর টাকা পরিশোধের পরও জেলে গেলেন জনৈক অসহায় হিন্দু মহিলা। ওই মহিলা নাম সুমিত্রা রানী ( ৩৫)। সে গজরা ইউনিয়নের গজরা গ্রামের যুগল চন্দ্র বালার স্ত্রী। তাদের সংসারে এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গজরা গ্রামের যুগল চন্দ্র বালার  বাড়িতে গিয়ে  দেখা গেছে সুমিত্রা রানীর সন্তানরা তার মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে।

সুমিত্রা রানীর স্বামী যুগল চন্দ্র বালা (৪২) জানান, গজরা বাজারের মানব সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড কাছ থেকে সুমিত্রা রানী ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। ২৫  হাজার টাকার মধ্যে ১৯ হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ করার পর কয়েক সপ্তাহ কিস্তি দেয়া বন্ধ ছিল। ফলে মানব সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি লিমিটেড মালিক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুমিত্রা রানীর বিরুদ্ধে চাঁদপুরে আদালতে মামলা করেন।

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সুমিত্রা রানির বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। সেখানে লেখা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য। ফলে ২০১৯ সনের ৩০ শে সেপ্টেম্বর আগে কিস্তি অবশিষ্ট ৭ হাজার টাকা গজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ মোল্লার মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। ওই ৭ হাজার টাকা নেওয়ার পর ও এনজিও মালিক নুরুল ইসলাম আদালত থেকে মামলা তুলে না নেওয়ায় সুমিত্রা রানীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়।

ফলে দীর্ঘ  পাঁচ মাস পর বৃহস্পতিবার(৫ মার্চ) রাত সাড়ে এগারোটায় মতলব উত্তর থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাজী  হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সুমিত্রা রানীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। মতলব উত্তর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, সুমিত্রা রানীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায়  তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি।

গজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ মোল্লা জানান,সুমিত্রা রানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার পর এলাকায় সালিশ বসে মীমাংসা করি।পরে কিস্তির টাকা ও মামলা উঠানোর খরচ সহ আমার মাধ্যমে নুরুল ইসলামকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল।

ঘটনার পর থেকে নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here