ঝিনাইদহ সদরে চলছে গরু চুরির হিড়িক, দিশেহারা কৃষক ও গরু খামারিরা।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত একমাসে প্রায় ১০ জন কৃষক ও গরু খামারীদের গোয়াল থেকে গরু চুরি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাই। গত কাল রাত্রে ৯ নং পোড়াহাটি ইউনিয়নের পোড়াহাটি গ্রামের মসলেম উদ্দীনের বাড়ী থেকে ৪ টি গরু চুরি হয়েছে। মসলেম উদ্দীনের স্ত্রী রুবি খাতুন বলেন আমরা প্রতিদিনের মত কাল রাতে গোয়ালে গরুর খাবার দিয়ে ও গোয়ালে তিন তিনটি তালা মেরে আমরা ঘরে ঘুৃমাতে যাই রাত ৪ টার দিকে আবার গরুর খাবার দিতে গোয়ালে যাই।

যেয়ে দেখি গোয়ালে গরু নেই। তালা ভেঙ্গে সিকল কেটে গরু নিয়ে গেছে। তখন আমার চেচামেচি ও কান্নাকাটিতে পাড়ার সকলে উঠে পড়ে। কান্না জড়িত কন্ঠে রুবি খাতুন বলেন রাতে ও সারাদিন খোজাখুজি করে কোথাও আমার গরু পেলাম না।গত দশ দিন আগে একই গ্রামের ইমান আলী নামের এক কৃষকের হালচাষের দুটি বলদ ও দুটি গাভী গরু চুরি হয়, এদিকে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামের জমির আলীর হালের দুটি বলদ ১৫ দিন আগে চুরি হয়ে যাই। জমির আলী বলেন গরু দুটি চুরি হওয়াতে আমি দিশেহারা হয়ে গেছি। আমি এখন কি করে চাষ করব বলতে পারব না।এদিকে সুারাট ইউনিয়নের লাউদিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের গোয়াল থেকে ৪ টি বলদ ও গাভী গরু চুরি হয়েছে।

বিল্লাল বলেন আমি জমি বিক্রি করে ৪ টি গরু কিনেছিলাম দুটো গাভী গরু দুধ বিক্রি করব আর কোরবানি ঈদে দুটি বলদ গরু বিক্রি করব এখন আমার সব শেষ।এদিকে গত পরশু পৌর এলাকার পবহাটি গ্রামের মন্টু লস্কারের বাড়ী থেকে ৩ টি গরু গোয়াল থেকে চুরি হয়। মন্টুর ছেলে মনিরুল রাতে প্রসাবকরতে উঠলে দেখে তাদের সকল ঘরের দরজার সিকল বাহির থেকে আটকে দেয়া। চেচামেচি ও মোবাইলে অন্য বাড়ীর মানুষ ডাকলে তারা এসে সিকল খুলে দিলে বাড়ীর সকলে বাহির হয়ে দেখে তাদের গোয়ালে কোন গরু নেই।

মসজিদে মাইকে বললে ও পাড়ার মানুষ চেচামেচি শুরু করলে চোর গরু তিনটি এলাকার মারকাজ মসজিদের নিকট ফেলে রেখে পিকাপ গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যাই। সকলের নিকট শুনে জানাজাই চোর চক্র তারা পিকাপ গাড়ী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে বেড়াই।গরু চুরি হয়ে যাওয়া ভুক্তভুগী দের বলি থানায় কোন মামালা করেছেন কি না সকলেই বলেন আমারা থানায় কোন মামলা বা কোন জিডি করিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here