প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃআব্দুল্লাহ আল মামুন নয়ন জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ খাদেমুল ইসলাম (৩৬) ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাশারুল ইসলাম সোহেলকে (২৮) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ৭টার দিকে আখানগর ইউনিয়নের শুকানিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: ধনিপাড়া গ্রামের প্রয়াত আমজাদ আলীর ছেলে খাদেমুল ইসলাম আখানগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধনিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বাশারুল ইসলাম সোহেল রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক।
আহতরা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আ.লীগ নেতা খাদেমুল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আমি ও চাচাতো ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল আখানগর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথে শুকানিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে আখানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী ও তার লোকজন পথরোধ করে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের দুইজনকে বেধরক পেটায়।
এক পর্যায়ে সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ও আমার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। হামলার সময় তারা আমার বাজাজ মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত আ.লীগ নেতা খাদেমুল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেলকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাশারুল ইসলাম সোহেল বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরেই আকষ্মিকভাবে বিএনপি নেতা ইউসুফ আলী ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিয়নে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আজকের হামলা সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রুমি আক্তার বলেন, আহত সোহেলের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে জখম করা হয়েছে; তার মাথায় ৪টি সেলাই করা হয়েছে এবং খাদেমুলের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
