আবারও ভোলায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও বিধবা নারী গণধর্ষণের শিকার।।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান শাহীনভোলা প্রতিনিধি॥ ফের ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩)কে ধর্ষণ ও এক বিধাব নারী (৩৫) গণধর্ষণের শিকাওে অভিযোগ উঠছে। ধর্ষিতারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  শুক্রবার(১৬আগস্ট) সকালে মাদ্রাসা ছাত্রী ও ভোরে বিধবাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষিতাদের পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা তাকে রেখে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। অপরদিকে তার বাবাও সকালে নদীতে মাছ শিকারে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহাগ তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির বাবা বাড়িতে এলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পায়। তিনি এগিয়ে গেলে ধর্ষক তাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা শুক্রবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপর দিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফুল কাচিয়া গ্রামের এক নারী (৩৫) স্বামীর মুত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালিয়ে আসছেন।  শুক্রবার ভোরের দিকে তিনি তার মুরগির খামারের খাবার দিতে গেলে ওই এলাকার বখাটে মাকসুদ, ছালাউদ্দিন ও আলমগীর তাকে পার্শ্ববর্তী গরুর খামারে নিয়ে হাত পা বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই নারীর বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।

ভোলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সারজিনা জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে। বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ম. এনামুল হক ঘটনার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপর ধর্ষণের ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here